
Tahawwur Rana finally in India: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণের পর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল চক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে আনা হয়েছে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দয়ান কৃষ্ণান এবং এনআইএ-র বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর, অ্যাডভোকেট নরেন্দ্র মানকে রানাকে আদালতে হাজির করার আগে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আসতে দেখা যায়। রানার আদালতে হাজির হওয়ার আগে, দিল্লি পুলিশ দ্রুত আদালত চত্বর খালি করে দেয়। কর্তৃপক্ষ পুরো এলাকা খালি করে দেয় এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মিডিয়া কর্মীদেরও চলে যেতে বলে। ঘটনার চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কোনও ব্যক্তিকে ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। জড়িত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই প্রবেশাধিকার সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আজ জানিয়েছে যে তারা রানাকে প্রত্যর্পণে সফল হয়েছে। তাহাউর রানা ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী, তাকে বিচারের আওতায় আনতে বহু বছরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এনআইএ অনুসারে, রানা ভারত-মার্কিন প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে তার প্রত্যর্পণের জন্য শুরু হওয়া কার্যক্রমের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। ভারতে যাতে তাকে ফিরতে না হয় তারজন্য তাহাউর রানা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছিল। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালত ২০১৬ সালের মে মাসে তার প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। এরপর রানা নবম সার্কিট কোর্ট অফ আপিলসে একাধিক মামলা করেন, যার সবগুলোই খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে একটি certiorari-এর আবেদন, দুটি হেবিয়াস পিটিশন এবং একটি জরুরি আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু সেগুলিও খারিজ হয়ে যায়।
ভারত সরকার মার্কিন সরকারের কাছ থেকে ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর জন্য একটি সারেন্ডার ওয়ারেন্ট পাওয়ার পর দুটি দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এনআইএ জানিয়েছে, "রানার বিরুদ্ধে ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানি এবং লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT) এবং হরকাত-উল-জিহাদি ইসলামীর (HUJI) মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলায় ১৬৬ জন নিহত এবং ২৩৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন। LeT এবং HUJI উভয়কেই ভারত সরকার বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।