জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে অত্যন্ত শুভ মুহূর্তে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে রাম মূর্তির। ভগবানের সিংহাসনের চারিদিকে দেওয়া হবে সোনার প্রলেপ।
অযোধ্যায় উন্মোচিত হতে চলেছে পূজ্য 'রামলালা'-র মূর্তি। সেই মূর্তি উন্মোচনের জন্য শুভ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে। মাত্র ৮৪ সেকেন্ডের মধ্যে মূর্তিটি পবিত্র করা হবে। পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় এবং পণ্ডিত বিশ্বেশ্বর শাস্ত্রী-র মতে, ২২ জানুয়ারী বিকেলে মূল মুহুর্তের সময় হল ১২:২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড। সেই সময় থেকে শুরু হয়ে ১২:৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ, প্রতিমার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য মাত্র ৮৪ সেকেন্ড হাতে থাকবে।
কাশীর দুই দ্রাবিড় ভাই, পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় এবং পণ্ডিত বিশ্বেশ্বর শাস্ত্রী-র মতে, মুহুর্তের শুদ্ধিকরণও করা হবে, যা ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬:২০ টা পর্যন্ত চলবে। পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী সেই একই পণ্ডিত যিনি কাশী করিডোর উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্যও শুভ সময় নির্ধারণ করেছিলেন।
-
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই শুভ মুহুর্তটি মেষ রাশির গুরু। যার ফলে, এর প্রভাবে রামের রাজ্য বৃদ্ধি পাবে। এই মুহূর্তে বৃহস্পতির দৃষ্টি পড়ছে পঞ্চম, সপ্তম ও নবম ঘরে। এটাও শুভ। ভগবান রামেরও জন্ম অভিজিৎ মুহুর্তে। যে ঘরগুলিতে লগনেশ গুরুর দৃষ্টি পড়ে। এর প্রভাব সারা বিশ্বে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি প্রতিমা চূড়ান্ত করা হবে
অন্যদিকে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের কাজ শেষ হয়েছে। যে সিংহাসনে রামলালা বসবেন, সেই সিংহাসনে সোনার প্রলেপ দেওয়া হবে। গর্ভগৃহের উপরের তলাটিও ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। তিনটি মূর্তির মধ্যে থেকে একটি মূর্তি পবিত্র করার জন্য নির্বাচন করা হবে। সেই মূর্তিগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি কোন মূর্তিটি পুজো করা হবে, সেটা ঠিক করা হবে।