Ayodhya Museum: ইতিহাস আর ধর্মের মেলবন্ধন অযোধ্যা যাদুঘর, এশিয়ানেট নিউজকে বললেন নৃপেন্দ্র মিশ্র

এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন, খননের প্রচেষ্টায় প্রচুর নিদর্শন এবং স্থাপত্যের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে, যা সাইটের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যকে নিশ্চিত করে।

 

Saborni Mitra | Published : Sep 13, 2023 12:33 PM IST / Updated: Sep 13 2023, 06:08 PM IST

অযোধ্যা - ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতায় ভরপুর এক প্রাচীন শহর। ২০২৪ সালে রাম মন্দির উদ্বোধন হবে। তারই অপেক্ষায় রয়েছে রাম ভক্তরা। রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই শহরের ঐতিহ্যের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন মন্দির সাইট খননের সময় ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (ASI) প্রচুর জিনিস উদ্ধার করেছে। যার ঐতিহাসিক মূল্যও রয়েছে।

এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন, খননের প্রচেষ্টায় প্রচুর নিদর্শন এবং স্থাপত্যের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে, যা সাইটের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যকে নিশ্চিত করে। তিনি বলেছেন উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি প্রমাণ করছে যে এটি প্রাচীন এবং এর পিছনে একটি ইতিহাস রয়েছে। বয়স গণনার জন্য নির্দিষ্ট ভিত্তি রয়েছে। তাই যাদুঘর তৈরি হচ্ছে। সেখানে সবই প্রদর্শিত হবে। এএসআই-এর আবিষ্কারগুলি, মন্দিরে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরিবর্তে যাদুঘরে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন ট্রাস্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তাদের আন্তর্জাতিক জাদুঘর রাম কাথায় স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছে। ইতিমধ্যেই একটি তিনতলা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে।

আদালা জায়গা তৈরি হচ্ছে যাদুঘর। তারও কারণ জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। তিনি বলেছেন মন্দির সাইটে যাদুঘর নির্মাণ করা হলে ভক্তদের চলাচল সীমিত হয়ে যেত, কেউ কেউ হয়তো রাম মন্দির দেখতে চান না কিন্তু জাদুঘর দেখতে চান। তাই তাদের এই ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত নয় যা এখানে দেওয়া হয়। আসন্ন জাদুঘরটিতে অযোধ্যার অশান্ত ৫০০ বছরের ইতিহাসকে ধরে ঐতিহাসিক বর্ণনা এবং আইনি রেকর্ডের ভান্ডার হওয়ার মতই তথ্য রয়েছে। যা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক নথি এবং রামমন্দির নির্মাণে শেষ হওয়া আইনি লড়াইকে তুলে ধরবে।

যাদুঘরটি দর্শনার্থীদের মন্দিরের ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্যের একটি প্রাণবন্ত চিত্রনাট্য তুলে ধরবে। যেখানে মূল আকর্ষণ ইতিহাস। ভগবান রামের প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল তাদেরও যেমন আকর্ষণ করবে তেমনই যারা ইতিহাস ভালবাসে তাদেরও ভাল লাগবে। এমন একটি শহরে যেটি শুধুমাত্র একটি মহৎ মন্দির নির্মাণের সাক্ষী নয় বরং এর ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারও গ্রহণ করে, যাদুঘরটি অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে একটি সেতু হয়ে ওঠে। এটি বিশ্বাস এবং অধ্যবসায়ের যাত্রাকে আলোকিত করবে যা অযোধ্যাকে এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে নিয়ে এসেছে, যেখানে মহান রাম মন্দির ভক্তি, ইতিহাস এবং একটি জাতির স্থায়ী চেতনার প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

Share this article
click me!