আবারও বিতর্ক শুরু হয়ে গেল বাবা রামদেবের পতঞ্জলির তৈরি করোনাভাইরাসের ওষুধ করোনিল নিয়ে। দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে রামদেব দাবি করেছিলেন, পতঞ্জলির করোনিলকে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনিল নিয়ে গবেষণাপত্রও তাঁর হাতে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন যোগগুরু রামদেব।
কিন্তু তারপরেই আসরে নামে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কোভিড ১৯ এর চিকিৎসার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনও ঔষুধের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করেনি বা অনুমোদন দেয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও সংস্থা বা ওষুধের নাম করা হয়নি। কিন্তু রামদেবের দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে এই দাবি করা হয়।
কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই পতঞ্জলির পক্ষ থেকে আচার্য বালকৃষ্ণ সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা বার্তা দিয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, আমরা এই বিভ্রান্ত এড়াতে স্পষ্ট করতে চাই যে করোনিলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি সম্মতিযুক্ত সিওপিপি শংসাপত্র ভারত সরকারের ডিসিজিআই দ্বারা জারি করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনও ওষুধ অনুমোদন করে না বা অস্বীকার করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি উন্নত স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য কাজ করে।
করোনিলকে করোনামুক্তি ওষুধ হিসেবেই দাবি করেছিলেন রামদেব। তিনি বলেছিলেন যাবতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রমাণ পুরণের পর সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক মাপতাঠির ভিত্তিতে করোনিলকে শংসাপত্র দিওয়া হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই সংশাপত্রের পর বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে করোনিল বিক্রির সুযোগ পাওয়া যাবে। এর আগেই করোনিল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল করোনার ওষুধ নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ হিসেবে সেটি কার্যকরী।