শনিবার কর্ণাটকের ভোট গণনার দিনে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একহাত নেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, 'ভাগবান হনুমানের ভক্তরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।'
কর্ণাটকের ভোট প্রচারের শেষের দিকে বড় ইস্যু ছিল বজরং দল। কারণ কংগ্রেস ইস্তেহারে বজরং দল -সহ একাধিক মৌলবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারকেই হাতিয়ার করে ভোট বৈতরনী পার করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ এমনকি বিজেপির রাজ্যের নেতাও বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছিল। পাশাপাশি কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত কর্ণাটকের বাসিন্দারা মেনে নেবে না বলেও জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলা পাসা উল্টে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই নিশানা করেছেন।
শনিবার কর্ণাটকের ভোট গণনার দিনে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একহাত নেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, 'ভাগবান হনুমানের ভক্তরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।' এখানেই শেষ নয়, পবন খেরা আরও বলেছেন, মানুষের দৈন্দনিজ জীবনের গুরুপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা করা উচিৎ। ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা না করাই ভাল। তিনি বলেন বিজেপি ভারতকে ভাগ করতে চাইছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ একত্রিয় হয়ে থাকার স্বপ্ন নিয়েই কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে।
কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচারে বজরং দল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেছিলেন, আগে কংগ্রেস ভগবান শ্রীরামকে তালা বন্ধ করে রেখেছিল। এখন কংগ্রেস ভগবান হনুমানকে বন্ধ করে রাতে চাইছে। অমিত শাহও বলেছিলেন, কংগ্রেস বজরং দলকে মন্দির টেনে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। মৌলবাদী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তিনি আরও বলেন মুসলিম মৌলবাদী একি সংগঠনকে তারা নিষিদ্ধ করেছেন, কংগ্রেস তারই বদলা নিতে চাইছে। যদিও কংগ্রেস এই বিষয়ে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপি সরকারের দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিল।
কর্ণাটকের ২২৪ আসনের বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত ১১৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭২টি আসনে। জিডিএস এগিয়ে রয়েছে ২২টি আসনে। কর্ণাটকে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। যা কংগ্রেস একাই পার করতে পারবে বলে আশা দলের নেতাদের। এবার কর্ণাটকে রেকর্ড ভোট পড়েছিল।
কর্ণাটকের সাফল্য আবারও রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি উস্কে দিয়েছে দলের মধ্যে। কর্ণাটক জল নিঃসন্দেহে রাহুল গান্ধীর কাছে একটি বড় সাফল্য। দলের ভাবমূর্তি যে ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে বদলেছে যা আবারও পরিষ্কার হল কর্ণাটকের জনতার রায়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন নেতা সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন এই জলই রাহুল গান্ধীর জন্য ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দরজা খুলবে।