সপ্তাহের শুরুতেই হবে ভোগান্তি। টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। ২৪ এবং ২৫ মার্চ দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন। আবার ২২ তারিখ মাসের চতুর্থ শনিবার এবং ২৩ তারিখ রবিবার। ফলে ২২ থেকে ২৫ মোট চারদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। UFBU-তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নয়টি প্রধান ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দিল। তালিকায় আছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (AIBEA) , অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (AIBOC), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ (NCBE), অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (AIBOA), ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (BEFI), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ কংগ্রেস (INBEC), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফিসার্স কংগ্রেস (INBOC), ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক ওয়াকার্স (NOBW), ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক অফিসার্স (NOBO)।
সদ্য এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত জানাতে অনুষ্ঠিত হল এক সাংবাদিক সম্মেলন। শহরের এক প্রেক্ষাগৃহ অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। তাদের দাবি, দীর্ঘ আলোচনার পরও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রধান দাবি মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ নিয়োগ। এর কারণে অনেক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। এত অল্প সংখ্যক কর্মীদের দিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দাবি সরকারি ব্যাঙ্কগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রয়োজন। সঙ্গে কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা, পারফরম্যান্স ভিত্তিক পর্যালোচনা এবং প্রণোদনার মতো নীতি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। দাবি, সরকারি হস্তক্ষেপ কমিয়ে ব্যাঙ্ক বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা। গ্র্যাচুরিটি সীমা ২৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা এবং আয়কর থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয়েছে। পারফরম্যান্স লিংকড ইনসেন্টিভ এবং কর্মচারীদের মূল্যায়ন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সরকারি নীতিক বিরুদ্ধেও তারা সোচ্চার হয়েছেন। সঙ্গে তাঁরা পাঁচ দিনের কর্ম সপ্তাহের দাবি জানিয়েছেন।
এই ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন লেনদেন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। তবে এই সময় অলাইন ও মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলো চালু থাকবে। সব মিলিয়ে সাধারণের ভোগান্তির আশঙ্কা আছে বিস্তর।