Extramarital Affair: বউ চলে যেতেই 'বোন'-এর সঙ্গে মাখামাখি, পাস্তা রেঁধেই রাঁধুনির কথায় বিপাকে পড়লেন স্বামী

নিজের বাড়ি থেকে কয়েকদিনের জন্য অন্যত্র গিয়েছিলেন স্ত্রী। বাড়িতে একা ছিলেন স্বামী। তারপরেই ভয়ঙ্কর গোলযোগ বাঁধল রাঁধুনির একটি ফোন কলে।

Sahely Sen | Published : Dec 25, 2023 9:08 AM IST

‘আজ বাড়িতে কী রান্না করেছ?’, রাঁধুনিকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলেন বাড়ির গিন্নী। কিন্তু, এই একটি প্রশ্নেই যে দুই বাড়ি আলাদা আলাদা হয়ে যাবে, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি সহজ সরল রাঁধুনি। চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে। 

-

ড. ফলক যোশিপুরা নামের এক ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে কাজ করেন একজন রাঁধুনি। তিনিই ফিজিওথেরাপিস্টকে এসে শুনিয়েছেন একটি অন্য পরিবারের ঘটনা। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ড. ফলক যোশিপুরা। তাঁর রাঁধুনি তাঁকে বলেছেন যে, বেঙ্গালুরু শহরেরই একটি বাড়িতে তিনি কাজ করেন, যেখানে পরিবারে আছেন মাত্র ২ জন সদস্য। স্বামী এবং স্ত্রী। একদিন নিজের বাড়ি থেকে কয়েকদিনের জন্য অন্যত্র গিয়েছিলেন স্ত্রী। বাড়িতে একা ছিলেন স্বামী। তারপরের দিনেই ঘটে যায় মারাত্মক অশান্তি। 

-

বাড়ির ওই গৃহিণী রাঁধুনিকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁর বাড়িতে আজ কী রান্না করা হয়েছে? রাঁধুনি জবাব দেন যে, গত রাতে বাড়ির মালিকের, অর্থাৎ ওই মহিলার স্বামীর এক বোন এসেছিলেন। তিনি এখন বাড়িতেই আছেন। তাই, তাঁকে আজ রান্না করতে হয়নি। বাড়ির কর্তা আজ নিজেই নিজের ‘বোন’-এর জন্য পাস্তা রান্না করেছেন। এই কথা শুনে পরেরদিনেই বাড়িতে ফিরে আসেন স্ত্রী। 

-

পরেরদিনেও বাড়ির ভেতরে ছিলেন বাড়ির মালিকের নতুন আসা ‘বোন’। গৃহিণী ঘরে ঢুকেই নিজের স্বামী-কে তাঁর কথিত ‘বোন’-এর সঙ্গে একেবারে মাখোমাখো অবস্থায় ধরে ফেলেন। রাঁধুনি বুঝতে পারেন যে, তাঁর কাছে যাঁর পরিচয় ‘বোন’ বলা হয়েছে, তিনি আসলে বাড়ির মালিকের বোন নন। তিনি আসলে বউয়ের কাছে লুকিয়ে যাওয়া প্রেমিকা, তাঁর মালিকের আসলে কোনও বোনই নেই। রাঁধুনির এই কথা বুঝতে বুঝতে বাড়ির অশান্তি পৌঁছে যায় চরমে। রাঁধুনি এও অনুভব করেন যে, গৃহিণীর কাছে ‘বোন’ আসার গল্পটা তাঁর না বললেই ভালো হত। কিন্তু, বলে ফেলে আদতে যে তাঁর কিছু লাভই হতে চলেছে, তা তিনি বুঝতে পারেন দিন কয়েক পর। 

-

ড. ফলক যোশিপুরা নামের ওই ফিজিওথেরাপিস্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের শেষে লিখেছেন, বর্তমানে ওই হতভাগ্য স্বামী এবং স্ত্রীয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তাঁরা বেঙ্গালুরু শহরের মধ্যেই থাকেন, তবে আলাদা আলাদা বাড়িতে। কিন্তু, সৌভাগ্যবতী রাঁধুনি এখনও রান্না করেন। দুই ভিন্ন ভিন্ন বাড়িতে কাজ করেই এখন অধিক টাকা উপার্জন করেন তিনি। 
 

Share this article
click me!