নন্দিনীকে জীবনসঙ্গী করার জন্য নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছিলেন পন্ডি মুরুগেশ্বরী। তারপর তাঁর নাম হয় ভেত্রীমারান। কিন্তু, স্কুলের সেই বান্ধবী হঠাৎ করে অন্য পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ায় ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিলেন প্রাক্তন ‘প্রেমিকা’।
বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য মহিলা থেকে হয়েছিলেন পুরুষ। কিন্তু, সেই বান্ধবী হঠাৎ করে অন্য পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ায় ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিলেন স্কুলের প্রাক্তন ‘প্রেমিকা’। শনিবার রাতে তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের থালামবুরে ঘটে গেল হাড় হিম করা ঘটনা!
-
স্কুলে পড়াকালীন একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন চেন্নাইয়ের মাদুরাইয়ের নন্দিনী এবং পন্ডি মুরুগেশ্বরী। নন্দিনীকে জীবনসঙ্গী করার জন্য নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছিলেন পন্ডি মুরুগেশ্বরী। তারপর তাঁর নাম হয় ভেত্রীমারান। নন্দিনীর সঙ্গে ভেত্রীমারানের প্রেম এগিয়েছিল কলেজ জীবন পর্যন্ত । কিন্তু পরবর্তী জীবনে প্রেমে আসক্তি কমে যেতেই, স্কুলের সেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করলেন এই রূপান্তরকামী।
-
চেন্নাইয়ের নন্দিনী ২৩ ডিসেম্বর, শনিবার পা দিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে পাশ করার পর একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ৮ মাস আগে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই নিজের কাকার কাছে থাকতে শুরু করেন নন্দিনী। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে ভেত্রীমারানের দূরত্ব বাড়ছিল। শনিবার তাঁর জন্মদিনের দিনেই তাঁকে ডেকে পাঠান ওই ব্যক্তি। জন্মদিনের উপহার হিসেবে তিনি নিয়ে এসেছিলেন নতুন জামা কাপড়, নন্দিনীকে তিনি ঘুরতেও নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায়।
-
ঘোরাফেরার পরে বাড়ি ফেরার সময় তিনি একটি জায়গায় গাড়ি থেকে লোহার চেন বের করে নন্দিনীর হাত এবং পা বেঁধে ফেলেন। নন্দিনী এই কাজ করতে বারণ করলেও ভেত্রীমারান তাঁকে জানান যে , তিনি শুধুমাত্র মজা করার জন্যই এই কাজ করছেন। এরপরেই হাত পা বাঁধা অবস্থায় তিনি নন্দিনীর ঘাড়ে, হাতে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ধারালো ব্লেড চালাতে থাকেন। অবশেষে নিজের গাড়ি থেকে বোতলে ভরা পেট্রোল বের করে নন্দিনীর গায়ে ঢেলে দেন ভেত্রীমারান এবং নন্দিনীর গায়ে আগুন লাগিয়ে তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় জ্বালিয়ে দেন তিনি।
-
অর্ধদগ্ধ অবস্থায় নন্দিনীকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অভিযুক্ত রূপান্তরকামীকে গ্রেফতার করেছে চেন্নাইয়ের পুলিশ।