তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এখনও সেই মামলাই ঝুলে রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতে ডিএ সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, তা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া ডিএ নিয়ে এই মামলা। এবার অঙ্কের হিসেবে দেখা গেলে ডিএ মামলায় যদি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা জয় পায় তাহলে পদ অনুযায়ী, লক্ষ লক্ষ টাকা আসবে সরকারি কর্মীদের পকেটে।
কেউ কেউ পাবেন দু’লাখ টাকা। কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকবে চার লাখ টাকা। গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীরা পেতে পারেন প্রায় ২ লাখ বকেয়া। গ্রুপ ‘সি’ কর্মীদের হাতে আসতে পারে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার। গ্রুপ ‘বি’ কর্মীদের ক্ষেত্রে ৩ লাখ ১০ হাজার এবং গ্রুপ ‘এ’ কর্মীদের ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক হতে পারে প্রায় ৪ লাখ টাকা।
উচ্চ আদালতের ডিএ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এখনও সেই মামলাই ঝুলে রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
এবার সেই মামলাতেই এল বড় আপডেট। সোমবার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। এর আগে যতবারই শুনানির দিন এসেছে ততবারই হতাশ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। আজও তা পিছু ছাড়ল না। প্রতিবারই কোনো না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। অতীতে বহুবার সময়ের অভাবে ডিএ মামলার শুনানি হয়নি বা হলেও সামান্য সময়ের জন্যই হয়েছে। এবারও তাই হল।
১১৯ দিন পর সোমবার ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে ১২বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এবারও একই কাণ্ড। সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার পিছিয়ে গেল বাংলার সরকারি কর্মচারীদের DA মামলার শুনানি।
এরপর মামলার পরবর্তী শুনানি কবে রয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানায় নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সর্বোচ্চ আদালত তরফে জানানো হয়েছে মামলাটির বিস্তারে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটির শুনানির দিন কবে ঠিক হবে তা জানা যাবে ২ সপ্তাহ পর। জানা গিয়েছে এদিন শুনানির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। এরপরই শুনানি স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।