জ্ঞানবাপী মসজিদের এই স্থানে পুজো করা যাবে, হিন্দু পক্ষের আবেদনে বড় সিদ্ধান্ত বারাণসী আদালতের

হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদব বলেছেন যে জেলা জজ অজয় ​​কৃষ্ণ বিশ্বেশের আদালত ব্যাস জির নাতি শৈলেন্দ্র পাঠককে বেসমেন্টে পুজো করার অধিকার দিয়েছেন।

Parna Sengupta | Published : Jan 31, 2024 12:06 PM IST

বুধবার জ্ঞানবাপী মামলায় বড় রায় দিল বারাণসী আদালত। আদালত হিন্দু পক্ষকে জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সে অবস্থিত ব্যাসজির বেসমেন্টে পূজা করার অধিকার দিয়েছে। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন যে হিন্দু পক্ষ এই স্থানে পুজো করার অনুমতি চেয়েছিল, যা আদালত অনুমোদন করেছে। সোমনাথ ব্যাসের পরিবার ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জ্ঞানবাপীর এই বেসমেন্টে পুজো করত, কিন্তু তৎকালীন রাজ্য সরকারের নির্দেশে এখানে পুজো বন্ধ হয়ে যায়।

হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদব বলেছেন যে জেলা জজ অজয় ​​কৃষ্ণ বিশ্বেশের আদালত ব্যাস জির নাতি শৈলেন্দ্র পাঠককে বেসমেন্টে পুজো করার অধিকার দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রশাসন ৭ দিনের মধ্যে পুজো অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে এবং পূজা পরিচালনার কাজ কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট করবে। মদন মোহন জানালেন, জ্ঞানবাপীর সামনে বসে নন্দী মহারাজের সামনে রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।

মুসলিম পক্ষ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে

জ্ঞানবাপীর ব্যাস বেসমেন্টে উপাসনার অধিকার পাওয়ার বিষয়ে মুসলিম পক্ষও বিবৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, এএসআই রিপোর্টে কোথাও উল্লেখ নেই, আমরা বারাণসী আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এ বিষয়ে হিন্দু ও মুসলিম পক্ষ থেকে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। হিন্দু পক্ষ জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সে প্রবেশের পাশাপাশি পূজা করার অধিকার চেয়েছিল। যা নিয়ে মুসলিম পক্ষের আপত্তি ছিল।

১৯৯৩ সালে পুজো বন্ধ হয়ে যায়

১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে, তৎকালীন উত্তরপ্রদেশ সরকার, মৌখিক আদেশে, জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজো নিষিদ্ধ করেছিল এবং সেই এলাকাটি সিল করে দিয়েছিল। পরে এ স্থানে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়। যার কারণে সেখানে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর, যখন জ্ঞানবাপীতে অবস্থিত শ্রিংগার গৌরীতে পূজার আচার-অনুষ্ঠান সহ অনেকগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তখন সোমনাথ ব্যাসের নাতি শৈলেন্দ্র ব্যাসও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

শৈলেন্দ্র ব্যাস আবেদনে বলেছিলেন যে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বেসমেন্টে পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন যে ডিএম-এর তত্ত্বাবধানে বেসমেন্টে আবার পুজোর অনুমতি দেওয়া হোক। বর্তমানে এই বেসমেন্টটি আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির কাছে রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!