দ্রুতগামী গাড়ি এবং লেন লঙ্ঘনের ফলে দুর্ঘটনা কমাতে সরকার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে এবং হাইওয়েতে প্রতি ১০ কিমি-তে স্পিড লিমিটের সাইন বোর্ড থাকবে। এই পরিবর্তন কি আদৌ দুর্ঘটনা কমাতে পারবে?
বেশি গতিতে গাড়ি চালানো এবং লেন লঙ্ঘন সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কেন্দ্র সরকার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিবহন মন্ত্রক সড়ক পরিচালনাকারী সংস্থাগুলির জন্য বাধ্যতামূলক করেছে যে এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় সড়কে প্রতি ১০ কিলোমিটারে গতিসীমা সাইন বোর্ড লাগাতে হবে। এতে চালক জানতে পারবেন কত গতিতে গাড়ি চালাতে পারবেন। সাইন বোর্ড ফুটপাতে লাগানো হবে। এতে গাড়ির লোগোও থাকবে।
মন্ত্রক এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় সড়কে সাইনেজের জন্য বিস্তৃত নির্দেশিকা জারি করেছে। এগুলি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য সাইনেজ এবং সড়ক চিহ্ন গুরুত্বপূর্ণ। এগুলিকে সড়কের ভাষা বলা হয়। নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য প্রতিটি চালকের এর ভালো জ্ঞান থাকা উচিত।
প্রতি ৫ কিমি-তে 'নো পার্কিং' সাইনেজ লাগাতে হবে
সড়ক ভ্রমণের সময় লোকেরা প্রায়শই গতিসীমা, প্রস্থান পথ এবং দিকনির্দেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করে। এটি বিবেচনা করে পরিবহন মন্ত্রক নিয়মিত ব্যবধানে বড় সাইনেজ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, গতিসীমার সঙ্কেত প্রতি ৫ কিমি-তে লাগাতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, জাতীয় সড়ক পরিচালনাকারী সংস্থাগুলিকে চালকদের অবহিত করার জন্য প্রতি ৫ কিমি-তে "নো পার্কিং" সাইনেজ লাগাতে হবে। প্রতি ৫ কিমি-তে জরুরি হেল্পলাইন নম্বরের বোর্ড লাগাতে হবে।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রাণ যায় দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের
গত কয়েক বছরে ভারতের সড়কের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জাতীয় সড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুত কাজ হয়েছে। ভালো সড়ক তৈরির ফলে মানুষের সুবিধা হয়েছে। তবে এর একটি নেতিবাচক দিকও দেখা গেছে। মানুষ বেশি গতিতে গাড়ি চালায় যার ফলে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ গুরুতর আহত হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৮ সালে ১৫৭৫৯৩, ২০১৯ সালে ১৫৮৯৮৪, ২০২০ সালে ১৩৮৩৮৩, ২০২১ সালে ১৫৩৯৭২ এবং ২০২২ সালে ১৬৮৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে।