এক দিকে আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব। আর অন্যদিকে এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। দুই তরুণ কী চাপ বাড়াচ্ছে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নীতিশ কুমারের ওপর। বিধবার সরণ জেলার পারসা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারে নীতিশ কুমারকে দেখে তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ঠান্ডামাথার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত নীতিশ কুমার। তাঁকে প্রকাশ্যে মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি বলা যেতেই পারে। কিন্তু এদিন প্রকাশ্য জনসভায় রীতিমত মেজাজ হারারেন নীতিশ কুমার। ধকম দিলেন সভায় আসা এক জন জনতাকেই।
নীতিশের সভায় লালু জিন্দাবাদ
ভোট দিতে না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এখানে কোনও রকম আওয়াজ করবেন না। রীতিমত বিরক্ত প্রকাশ করেই সভায় আসা একদল জনতার উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন নীতিশ কুমার। এদিন সভায় আসা একদল মানুষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের নাম করে স্লোগান দিচ্ছিল। নীতিশ কুমার বক্তব্য রাখার সময় বারবার বলছিল লালু প্রসাদ জিন্দাবাদ। তাতেই মেজাজ হারান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তারপরই তাঁর সভায় বিরক্ত নান করার কথা বলে জেডিইউ প্রার্থী চন্দ্রিকা কুমারের পক্ষে সওয়াল করেন।
লালুর আত্মীয় চন্দ্রিকা
পারসা আসনে ডেজিইউ প্রার্থী চন্দ্রিকা রাই। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই লালুপ্রাসদ যাদবের ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন। তাঁর কন্যা ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লালুপ্রসাদের পুত্র তেজপ্রতাপ যাদবের। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্ক সুখের হয়নি। দাম্পত্য কলেহে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন ঐশ্বর্য। তারপর থেকেই আরজেডির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে নীতিশ কুমারের দলে নাম লেখান চন্দ্রিকা। এদিন সেই চন্দ্রিকার সমর্থনেই ভোট প্রচার করেন নীতিশ কুমার।
তারণ্যের তাস
একদিকে তেজস্বী যাদব। বিহার বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছেন তিনি। নীতিশ কুমারের সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছেন ১০ চাকরির প্রতিশ্রুতি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়ে এত টাকাই নেই বিহার সরকারের হাতে। কোথা থেকে এই চাকরি দেবেন তেজস্বী। কিন্তু তাতেও দমবার পাত্র নন তেজস্বী। একের পর এক প্রচারে নীতিশ বিরোধী ভোট বাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে জোট থেকে বেরিয়ে এলেও নিজেকে মোদী ভক্ত প্রমাণ করতে মরিয়া প্রয়াশ চালিয়ে যাচ্ছেন চিরাগ পাসোয়ান। পাশাপাশি চলছে নীতিশ বিরোধী প্রচার। সবমিলিয়ে তুই তরুণ কিছুটা হলেও চাপ বাড়িয়েছে নীতিশ কুমারের।
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার
বুধবার কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। জোট সঙ্গী তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কংগ্রেসও বছরে বেকারভাতা হিসেবে দেড় হজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি লোন দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে।