বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যসভায় কংগ্রেসের বিপর্যস্ত দশাকেও হাতিয়ার করেন। রীতিমত কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন কংগ্রেসের আজ এমন অবস্থা হয়েছে যে রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়েও ১০০ গণ্ডি অতিক্রম করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন কংগ্রেস কখনও আলোচনা চায়নি। গণতন্ত্রের ধারধারেনি। কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের মানুষ। আর সেই কারণেই কংগ্রেসের মোট সাংসদ সংখ্যা ১০০র নিচে নেমে গেছে।
২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেসে আসন সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪০এরও নিচে। ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথমবার কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা হয় মাত্র ৩৮। উত্তর প্রদেশে ভোট হওয়া রাজ্যসভার ১০ আসনের মধ্যে ৮টি দখলে করেছে বিজেপি। বাকি দুটি আসনের একটি জিতেছে সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব আর বহুজন সমাজপার্টির রামজি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের একটি মাত্র আসনে জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সাংসদ রাজ বব্বরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই আসনটি খালি হয়ে যায়।
পদ্ম কি তাঁকে 'সুভাষিত' করবে, ভোট লড়াইয়ে না থেকেও রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া .
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শুরু, আমেরিকায় 'গ্রামের নাতনির' জয়ের জন্য পুজো তামিল গ্রামে .
দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যসভায় একাধিপত্য কায়েম করে রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমানে কংগ্রেসের অবস্থা বিপর্যস্ত। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় কমেছিল। কংগ্রেসের মাত্র ৫২জন সাংসদ রয়েছেন লোকসভায়। এবার হাতছাড়া হল রাজ্যসভার একাধিপত্য। সংসদের দুই কক্ষে কংগ্রেসের মোট সদস্য সংখ্যা ৯০। দেশের ১৪টি মূল রাজ্যে কংগ্রেসের কোনও সাংসদ নেই। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের একমাত্র সাংসদ সনিয়া গান্ধী। হত রাজ্যসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের মাত্র একজন প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু এবার উত্তর প্রদেশও খালি হাতেই ফেরাল কংগ্রেসকে।