সংক্ষিপ্ত

 

  • মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শুরু হয়েছে 
  • মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রার্থনা 
  • প্রাথনা কমলা হ্যারিসের মায়ের গ্রামের 
  • বিলি করা হচ্ছে ইডলি আর সম্বর 
     

শুরু হয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আর এরই সঙ্গে সঙ্গে উৎকণ্ঠা বাড়তে শুরু করল  ভারতের একটি রাজ্যে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর বাসিন্দারা মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী তথা ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্য কমলা হ্যারিসের জন্য প্রার্থনা শুরু করে দিয়েছেন।  থুলসেন্দ্রপুরম, এই গ্রামেই এক সময় থাকতেন কমলা হ্যারিসের পিতৃপুরুষ।  শত শত মাইল দূরে থেকেও কমলা হ্যারিসের জয়ের আশা করছেন এই গ্রামের মানুষরা।  মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামে পুজো শুরু হয়েছে। কমলা হ্যারিসের মাহামত এই পুজোর উদ্যোক্তা। পুজোপ পর স্থানীয় ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে ইডলি আর সম্বর। ভোটের আবহ থেকে অনেক দূরে থাকলেও এই গ্রামে রীতিমত ভোট-উৎসবের মেজাজ দেখা যাচ্ছে। 

মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নজর কেড়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে একের পর জনসভায় স্থানীয় ভোটারদের মন জয় করেছেন হ্যারিস। আর নিজের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি। তবে আত্মবিশ্বাসী হ্যারিস জানিয়েছেন শেষ কথা বলবেন ভোটাররা। কমলা হ্যারিস যদি মার্কিন নির্বাচনে জয় লাভ করেন তাহলে তিনি হবেন প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট বা উপরাষ্ট্রপতি। 

চেন্নাই থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে  থুলসেন্দ্রপুরম গ্রাম। এই গ্রামেরই বাড়ি ছিল কমলা হ্যারিসের মায়ের। পড়াশুনার জন্য কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালন চলে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। আর সেখানেই তাঁর আলাপ হয় জামাইকান ডোনাল্ড হ্যারিসের সঙ্গে। তারপর প্রেম আর বিবাহ। কমলা হ্যারিসের যখন সাত বছর বয়স তখন তাঁর মা ও বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কমলা হ্যারিসের আরও একটি বোন রয়েছে। তাঁর নাম মায়া। তিনিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ দিন আগে শ্যামলা গ্রাম ছাড়লেও কমলা হ্যারিসকে এখনও পর্যন্ত  থুলসেন্দ্রপুরমের বাসিন্দারা গ্রামের নানতি হিসেবেই দেখে। আর সেই কারণেই তাঁর জয়ের জন্যই সকাল থেকেই চলছে পুজো আর প্রসাদ বিলি। হ্যারিসের সমর্থনে গ্রামে পড়েছে পোস্টারও। মোটের ওপর মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আবহ তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুর এই প্রত্যন্ত গ্রামে।