'নীতিশ-কে মহাজোটে স্বাগত', ফল ঘোষণার পরই এনডিএ-র ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে গেল আরজেডি

ভোটের আগে নীতিশ-এর সঙ্গে জোট হবে না বলে জানিয়েছিল আরজেডি

প্রত্যাশিত ফল না মেলার পর এবার সেই নীতিশের দিকেই হাত বাড়ালো তারা

এনডিএ সরকার গড়লেও তা বেশিদিক নাও টিকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে

তা বুঝেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে গেল তেজস্বীর দল

 

ভোটের আগে জোর গলায় তেজস্বী যাদব জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর নীতিশের সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু, মঙ্গলবারের ফলাফলে সরকার গড়ার সব আশা শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আরজেডি নেতারা বলছেন, 'নীতিশ আসতে চাইলে স্বাগত'।

তেজস্বী নিজে কিছু না বললেও, বুধবার, আরজেডি নেতা নির্মল কুমার সিং স্পষ্ট নীতিশ কুমারের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, নীতিশ কুমার মহাজোটে সামিল হতে চাইলে তাঁকে 'দুহাত খুলে স্বাগত' জানানো হবে।

Latest Videos

এনডিএ ১২৫টি আসন জিতে সরকার গড়তে চললেও, নীতিশ কুমারের জেডিইউ-এর ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৪৩টি আসন। ৭৪ আসন পাওয়া বিজেপি শীর্ষ নেতারা নীতিশই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে মেনে নিলেও, রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা কর্মীই এতে খুশি নয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ। বিজেপি নেতারাও আগামী ৫ বছরের মধ্যে নীতিশের বদলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আড়াই বছর নীতিশ, বাকি আড়াই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী এই ফর্মুলাও নেওয়া হতে পরে, বলে জানা যাচ্ছে।  

এই অবস্থায় এনডিএ সরকার গড়লেও, তাদের সরকার বেশিদিন স্থায়ী নাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নীতিশ শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁকে প্রায় দ্বিগুণ আসন পাওয়া বিজেপি-র হাতের পুতুল হয়ে থাকতে হতে পারে। মাঝপথে এনডিএ ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইতে পারেন নীতিশ, এমন সম্ভাবনাও কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট গড়ে, ধীরে ধীরে গত ১৫ বছরে দলীয় সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে, রাজ্যে বিজেপি ব্যাপক ক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবারের ভোটের ফলেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাজেই অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও জেডিইউ বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে পারে বলে মনে করছেন রজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এই অবস্থায়, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে আরজেডি। আগে ভাগেই, নীতিশের দিকে হাত বাড়িয়ে রাখছে ৭৫ আসনে জিতে রাজ্যের বৃহত্তম দল হওয়া আরজেডি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিজেপি নেতাদের একাংশ মনে করছেন, বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা করতে পারেন নীতিশ কুমার নিজেই। সংখ্যালঘু জোট শরিক হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার বিষয়ে তিনি নিজেই আপত্তি জানালে, সাপও মরে না, লাঠিও ভাঙে না। অর্থাৎ রাজ্যের বিজেপি নেতা-কর্মীদের ক্ষোভও সামলানো যায়, আবার জোটধর্মও ভঙ্গ করতে হয় না।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'দিনকাল খুব খারাপ, পাশেই বাংলাদেশ' চরম ইঙ্গিত শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari | Bangla News |
'আপনার লজ্জা লাগেনা মমতা! ভোটার লিস্টে নাম, জঙ্গিরা দিচ্ছে ভোট' জোর ঠুকলেন Suvendu Adhikari | BJP
১৫ দিন পরও অধরা বিধাননগরের কাউন্সিলর, পুলিশকে ধুয়ে যা বললেন Sukanta Majumdar
'উনি মুখ্যমন্ত্রী উনি যা মনে করবেন তাই করবেন' হিডকোর চেয়ারম্যান পদ যেতেই এ কী বললেন ফিরহাদ?
খাদানের বক্স অফিসে সাফল্যে দর্শকদের হাত জড়ো করে ধন্যবাদ দেবের, দেখুন ভিডিও