বিহারে এনডিএ সরকার গড়লেও কোভিডের ধাক্কা খেয়েছেন নীতিশ কুমার
তবে শুধু তিনিই নন, বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয়তা ক্ষমতাসীন হারাচ্ছেন নেতারা
কোভিডের ক্ষোভ তাঁদের বিরুদ্ধে উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ
ব্যতিক্রম একজনই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সারা বিশ্বজুড়ে চলছে মহামারি। রোজই আরও আরও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, বেড়ে চলেছে মৃতের তালিকা। শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়েই মুখ থুবরে পড়েছে অর্থনীতি। এই বহুমুখী বিপর্যয়ের জন্য বিশ্বের কোনও প্রান্তের মানুষই তৈরি ছিল না। এই অবস্থায় বিশ্বজুড়েই তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ক্ষমতাসীন প্রায় সব নেতাকেই। ব্যতিক্রম একজনই, নরেন্দ্র মোদী। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কমেনি শুধু নয়, কোভিড পরবর্তী সময়ে তা আরও বেড়েছে। বিহারের ভোটের ফলাফল তা আরও একবার প্রমাণ করল।
বিহারের ভোটের ফল বলছে, এনডিএ জোট ১২৫টি আসন জিতেছে। এরমধ্যে বিজেপির প্রাপ্ত আসন ৭৪টি, অর্থাৎ ২০১৫ সালের থেকে ২১টি বেশি। আর জেডিইউ পেয়েছে ৪৩টি আসন, গতবারের তুলনায় ২৮টি কম। ভোট ভাগাভাগির হার বিচার করলে বিজেপি এবার বিহারে ভোট পেয়েছে ১৯.৫ শতাংশ, আর জেডিইউ ১৫.৪ শতাংশ। ২০১৫ সালে বিজেপি ও জেডিইউ-এর ভোট ছিল যথাক্রমে ২৪.৪ শতাংশ ও ১৬.৮ শতাংশ।
ফলাফলই বলে দিচ্ছে এবারের ভোটে কীভাবে এনডিএ জিতলেও, তা একান্তই বিজেপির সাফল্যে। জেডিইউ বেশ ধাক্কা খেয়েছে। এলজেপি ফ্যাক্টর-এর মতো বেশ কিছু বিষয় নীতিশের বিপক্ষে থাকলেও, ভোট বিশ্লেষকরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতি ও তার কারণে কাজ হারানো মানুষ নীতিশের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিক ও যুবদের মধ্যে আরজেডি-র কর্মসংস্থানের স্লোগান ভালো সাড়া ফেলেছে।
অন্যদিকে, বিজেপির এই সাফল্যের পিছনে কোভিড পরিস্থিতিতে জনধন প্রকল্প, ফ্রি রেশনের মতো নরেন্দ্র মোদীর প্রকল্পগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বছর বিহারে বিজেপির বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতা বিহারে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন। তবে সেরা তারকা ছিলেন নরেন্দ্র মোদীই। তাঁর জঙ্গলরাজ থেকে মুক্তি, ডাবল ইঞ্জিন সরকার-এর প্রচার ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সমীক্ষা
কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বেই রাষ্ট্রনেতাদের জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা দারুণভাবে কমেছে। সম্প্রতি মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের পিছনেও মূল কারণ বাইডেনের কোভিড প্রচার, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কীভাবে গত এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রঝধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোদের গহণযোগ্যতা কমেছে। শুধু অটুট রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।