'একটা ছেলের জন্য ৭-৮টা বাচ্চা' - নীতিশের 'অশালীন' আক্রমণ, ফুঁসছে লালু-রাবরির গ্রাম

Published : Oct 31, 2020, 04:08 PM ISTUpdated : Nov 01, 2020, 10:02 AM IST
'একটা ছেলের জন্য ৭-৮টা বাচ্চা' - নীতিশের  'অশালীন' আক্রমণ, ফুঁসছে লালু-রাবরির গ্রাম

সংক্ষিপ্ত

নির্বাচনের সময় অনেকেই মুখের লাগাম হারান এবার তাই ঘটল নীতিশ কুমারের ক্ষেত্রে লালু-রাবড়ির সন্তান সংখ্যা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসলেন তিনি যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে লালু-রাবরির গ্রাম  

একেবারে ব্যক্তিগত স্তরের কুৎসিৎ আক্রমণ। বিহার বিধানসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই সৌজন্য হারাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। এবার নারী কল্যানের প্রশ্নে একেবারে প্রকাশ্য সভা থেকেই লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর স্ত্রী রাবরি দেবী সম্পর্কে চরম অবমাননাকর মন্তব্য করে বসলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (ইউ) প্রধান নীতিশ কুমার। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক জড়িয়েছেন তিনি। আর লালুপ্রসাদ-রাবরি দেবীর গ্রামের লোক - একেবারে ফুঁসছে।

কী বলেছিলেন নীতিশ

শুক্রবার এক জনসভায় নীতিশ কুমার আরজেডির সময়ে মহিলাদের উন্নয়নের জন্য কিছুই করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন। আর তা করতে গিয়েই সৌজন্যের সীমা লংঘন করে তিনি বলেন, লালুপ্রসাদ শুধু জেলে যাওয়ার সময় নিজের স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, নারীদের জন্য আর কোনও পদক্ষেপ তিনি নেননি।

একটা ছেলের জন্য ৭-৮টা বাচ্চা

১৯৯৭ সালে রাবরি দেবীর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেই থামেননি নীতিশ। লালু-রাবড়ির সন্তানের সংখ্যা নিয়েও মন্তব্য করে বসেন তিনি। বলেন, কন্যা সন্তানের উপর ভরসা নেই বলেই একজন পুত্রসন্তান চেয়ে অতজন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

তীব্র বিতর্কে নীতিশ

তার এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নারী উন্নয়নের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নারীদেরই অসম্মান করে লবসেছেন নীতিশ, এমনটাই মনে করছে অধিকাংশ বিহারবাসী। রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এমন অশোভন কথা বলা উচিত হয়নি তাঁর মতো একজন বিশিষ্ট রাজনীতিক-এর, এমনটাই বলছেন অধিকাংশ মানুষ। আর লালুপ্রসাদ এবং রাবরি দেবীর গ্রামের মানুষ তো যারপরনাই ক্ষুব্ধ।

কী বলছে রাবরি দেবীর জন্মস্থান সিলার কালা গ্রাম

রাবরি দেবীর ছোটবেলার গ্রামের মানুষ বলছেন, নীতীশ কুমারের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কোনও শিক্ষিত মানুষ কার কয়টি বাচ্চা রয়েছে তাই নিয়ে কথা বলেন না, তাও আবার প্রকাশ্য সভায়। আগেকার দিনে বড় পরিবারেরই ঐতিহ্য ছিল। নীতীশ কুমারেরও যে বেশ কয়েকজন ভাই-বোন রয়েছে, সেই কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। তিন-চার দশক আগে কী ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করা অগ্রগতির পরিচয় নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা।

কী বলছে লালুপ্রসাদের জন্মস্থান ফুলওয়ারিয়া গ্রাম

সিলার কালা-র বাসিন্দাদের মতোই ফুলওয়ারিয়া-ও বলছে চেয়ার হারানোর ভয়েই নীতিশ শালীনতা ভুলেছেন। নারীর সম্মান নিয়ে খেলা করার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি, বলে নীতিশকে সতর্ক করে দিয়েছেন তাঁরা। লালু-রাবড়ির পরবর্তী প্রজন্ম এখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে মনে করছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে আশায় আছেন, নীতিশের সময় অবহেলায় থাকা ফুলওয়ারিয়ায় তেজস্বীর সময়ে আবার উন্নয়নের জোয়ার বইবে। যুবরাও আশায় আছেন কর্মসংস্থানের।

কী বলছে জেডি (ইউ)

এই অবস্থায় নীতীশ কুমারকে রক্ষা করতে নেমেছেন অন্য়ান্য জেডি (ইউ) নেতারা। দলের মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন বলেছেন, অশান্তি হওয়ার মতো কোনও কথা নীতিশ বলেননি। তিনি সবসময়ই নারী শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। ওই সভাতেও তিনি নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষেই সোচ্চার ছিলেন বলে অবস্থা সামাল দিতে চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে তাতে ভবি কতটা ভুলবে, তা ১০ অক্টোবর ফলাফলের দিনই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

PREV
click me!

Recommended Stories

এনডিএ সাংসদদের জন্য মোদীর নৈশভোজ আয়োজন: আঞ্চলিক ও বাজরা সমৃদ্ধ মেনু
দশ হাজার নয়, এক লাখ দিলেও মুসলিমরা আমাকে ভোট দেবে না: অসমের মুখ্যমন্ত্রী