
শাশুড়ি জামাই মিলে অভিনব কায়দায় চুরি করত ,সব জানার পর হতবাক দুঁদে পুলিশ কর্তারাও । 'গুণধর' দুজনের মধ্যে একজনকে ধরা গেলেও অন্যজন পলাতক। জামাইয়ের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নীলম দেবী নামে শাশুড়ি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষা করতেন। আসল উদ্দেশ্য ছিল ভিক্ষার নামে সব কিছু দেখে যাওয়া। গৃহস্থের বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতিও সে মেপে নিত। দীর্ঘদিন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে করতে এলাকার অনেকেরই মুখ চেনা হয়ে গিয়েছিল সে। ভিক্ষা করতে আসা এই মহিলাকে দেখে কেউ বুঝতেই পারেননি, ভিক্ষা করা পিছনে তার আসল উদ্দেশ্যের কথা । পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে যখন দামি মোবাইল, বাইক, দুষ্প্রাপ্য কয়েন উদ্ধার করে তারপরই সকলের চোখ কপালে ওঠে। ধৃত বৃদ্ধাকে জেরা করতেই বেরিয়ে পড়ল আসল ঘটনা, পর্দাফাঁস করল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলাতে । পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) বিদ্যা সাগর জানান, এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছেন যার নাম নীলম দেবী। এলাকায় ভিক্ষা করাই ছিল জীবিকা নির্বাহের পথ। সম্প্রতি তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন মশারি বিক্রির । কিন্তু ভিক্ষা করা ওই মহিলার আসল উদ্দেশ্য ছিল না কেন তার ব্যাখা দিল পুলিশ। পুলিশ সুপারের কথায়, অভিযুক্ত ওই বয়স্ক মহিলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করার অছিলায় সেই বাড়িতে দেখে নিতেন কে কে আছেন, কী কী জিনিস আছে ঘরের মধ্যে । মোটামুটি টার্গেট সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার পরেই তাঁর জামাই রাতে সেই সব বাড়িতে চুরি করতে যেত।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের দল নীলম দেবীর ঝুপড়িতে পৌঁছে যায়। তল্লাশি অভিযান শুরু হতেই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি দামি বাইক, ১২টি মোবাইল, লক্ষাধিক টাকা, সোনার গয়না। এ ছাড়াও, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রার সংগ্রহ। উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক। শাশুড়ি নীলমকে পাকড়াও করতে পারলেও তাঁর জামাই পালিয়েছে । পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জামাইয়ের খোঁজে চলছে চিরুনী তল্লাশি। এঁদের দুজনের পিছনে বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। পলাতক অভিযুক্তকে ধরতে পারলেই বাকি চক্রের হদিস পাওয়া যাবে বলে অনুমান করছে পুলিশ সুপার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।