১৯ ও ২০ নভেম্বর ছট পুজো। বিহার সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে স্বাভাবিকভাবে চলে তার জন্যই এই ছুটি বাতিল করে দিয়েছে বিহার সরকার।
খোদ বিহারেই বাতিল হয়ে গেল ছট পুজোর সরকরি ছুটি। সৌজন্যে বিহারের নীতিশ কুমার সরকার। যা নিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রবল অসন্তোষ। ছট পুজো বিহারের বাসিন্দাদের কাছে সবথেকে বড় উৎসব। কিন্তু রাজ্যের সবথেকে বড় উৎসবে রাজ্যের সরকারি স্কুলে ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্কুলের শিক্ষক আর প্রধানশিক্ষকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সিএসকে কে পাঠক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানেই তিনি ছুটি বাতিলের কথা বলা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
১৯ ও ২০ নভেম্বর ছট পুজো। বিহার সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে স্বাভাবিকভাবে চলে তার জন্যই এই ছুটি বাতিল করে দিয়েছে বিহার সরকার। কিন্তু বিহার সরকার এই ছুটি বাতিল করে দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে মসৃণভাবে চলে তারজন্য অতিরিক্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর সেই কারণে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
বিক্ষোভ শিক্ষকদের
বিহারের শিক্ষক ইউনিয়নের নেতারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ছুটি বাতিল হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জোর দিয়ে বলেছেন, এই বছরের শুরুতে সরকারের নিয়োগ অভিযানের পর থেকে শিক্ষাবিদ ছট উৎসবের পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু সরকার আচমকা ছুটি কমিয়ে দেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জেলা শিক্ষক দফতরের পদক্ষেপ
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানিয়েছেন জেলা শিভক্ষ বিভাগ সমস্ত স্কুলের অধঅযক্ষকে একটি নির্দেশ জারি করেছে। তাদের ১৩ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজির থাকতে হবে। নভেম্বর পর্যন্ত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্কুলের কর্মচারীদের, বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, প্রধান শিক্ষকরা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে, শিক্ষকরা সক্রিয়ভাবে স্কুলের কাজে অংশগ্রহণ করবেন- তেমনই আশা করা হচ্ছে।
বিহার সরকার ছুটি কমাচ্ছে
ছট পুজোর সময় শিক্ষকদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ছুটি কমানো হয়েছে।