দীর্ঘ দিন ধরেই স্তব্ধ হয়ে রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও পদে রয়েছেন জেপি নাড্ডা। কিন্তু আর বেশি দিন নয়, এবার দ্রুত হবে বিজেপির সভাপতি নির্বাচন। তেমনই বলছে বিজেপির একটি সূত্র। সম্ভবত বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হতে পারে সভাপতি নির্বাচন। তেমনই প্রক্রিয়া চলছে পদ্ম শিবিরে।
25
সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া
বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অনেক আগেই সূত্রের খবর খুব দ্রুত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটকের রাজ্য সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। একই সঙ্গে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনও হবে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশ ও অমিত শাহ গুজরাট তেকে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন। বিজেপি সূত্রের খবর এই দুই নেতাই সর্বভারতীয় বা জাতীয় সভাপতির নাম প্রস্তাব করতে পারেন।
35
জেপি নাড্ডার জায়গায় কে?
কে হবেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি? ইতিমধ্য়েই এই প্রশ্ন নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে পুরোপুরি নীরব। বিজেপি সূত্রের খবর জাতীয় সভাপতি এবার কোনও মহিলাকে করতে পারে বিজেপির। তেমনই পরামর্শ দিয়েছে সংঘ। আরএসএস মহিলা সভাপতির পক্ষেই সওয়াল করেছে বলেও সূত্রের খবর।
বিজেপি যদি সংঘের কথা মেনে নিয়ে কোনও মহিলার ওপর দলের দায়িত্ব দেয় তাহলে তিনি হবেন বিজেপির প্রথম মহিলা সভাপতি। তাতে একাধিক বার্তা দিতে পারবে বিজেপি। দল যে মহিলাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তাও প্রকাশ করা যাবে। বর্তমানে দেশে মহিলা ভোটারের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। সেই ক্ষেত্রেও ভোটারদেরও বার্তা দেওয়া যাবে। যদিও এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ পদ্ম শিবিরের।
55
তিন মহিলার নাম
বিজেপিতে জাতীয় সভাপতি হিসেবে তিন মহিলার নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রথম জনই হলেন নির্মলা সীতারমণ। তিনি দেশের সবথেকে বেশি দিন পূর্ণ সময়ের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড করেছেন। তিনি জাতীয় সভাপতি হলে সেটিও হবে রেকর্ড। দ্বিতীয় নাম- ডি পুরন্দেশ্বরী, অন্ধ্রপ্রদেশের মহিলা নেত্রী। তিনি জাতীয় সভাপতি হলে পদ্ম শিবিরের 'দাক্ষিণাত্য' জয় অনেকটাই সহজ হবে বলেও অনেকে মনে করছে। তৃতীয় নাম বনথি শ্রীনিবাস, তামালনাড়ুর নেত্রী।