মাওবাদীদের সাহায্য করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপি নেতা, বনের মধ্যে ট্রাক্টর দিয়ে কী করছে তারা

Published : Jun 14, 2020, 08:41 PM IST
মাওবাদীদের সাহায্য করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপি নেতা, বনের মধ্যে ট্রাক্টর দিয়ে কী করছে তারা

সংক্ষিপ্ত

এ যেন বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা মাওবাদিদের ট্র্যাক্টর সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপি নেতা ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া জেলায় ঘটনা কিন্তু বনের মধ্য়ে ট্রাক্টর দিয়ে কী করছে তারা  

এ যেন বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা। নকশালপন্থী বা মাওবাদিদের সহায়তা করার দায়ে এবার গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের মাও অধ্যূষিত দান্তেওয়াদা জেলায়। রবিবার দান্তেওয়াড়া পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদিদের হয়ে একটি ট্র্যাক্টর কিনে তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে শনিবারই রমেশ উসেন্ডি নামে ৩২ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই তাঁরা স্থানীয় বিজেপি নেতা জগৎ পুজারী-রও সন্ধান পান। তাকেও ছত্তিশগড়ের বিশেষ জননিরাপত্তা আইন, ২০০৫-এর আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

জগৎ পুজারী কিন্তু কোনও দলবদলু নব্য বিজেপি নেতা নন। গত পাঁচ বছর ধরে বরসুর গ্রামের এই বাসিন্দা বিজেপির দান্তেওয়াড়া জেলার সহ-সভাপতি। কীভাবে তার মাও-যোগের সন্ধান পাওয়া গেল? পুলিশ জানিয়েছে, অভিজমাদ অঞ্চল থেকে সিনিয়র মাও নেতারা কিছু জিনিস কেনার জন্য সম্প্রতি ইন্দ্রবতী অঞ্চলের কমান্ডার-ইন-চিফ অজয় ​​আলামির হাতে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিল বলে তাঁরা খবর পেয়েছিলেন।

শনিবার বিকেলে পুলিশ বরসুর থেকে চিত্রকুটের পথে একটি নতুন কেনা ট্র্যাক্টর আটকেছিল। সেটি নিয়ে যাচ্ছিলেন রমেশ উসেন্ডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করায়, সে জানায় ওই ট্রাক্টরটি কেনার জন্য মাওবাদী নেতা আলামি তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছিল। এই কাজে তাঁকে সবরকম সাহায্য করেছে বিজেপি নেতা জগৎ পুজারী।

এরপরই বরসুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই বিজেপি নেতাকে। পুলিশের দাবি তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দান্তেওয়ারার জানিয়েছেন, পুজারীর মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডস থেকেও জানা  গিয়েছে, সে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।অভিযুক্তদের কাছ থেকে ট্রাক্টর ছাড়াও নকশালদের জন্য কেনা কিছু চাষাবাদের সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত করছে পুলিশ।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনাভাইরাস রোধে যে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তাতে মাওবাদীদের সরবরাহের শৃঙ্খল ভেঙে গিয়েছিল। তাই রেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছে মাওবাদীরা। তাই পুলিশের অনুমান এখন তারা বনাঞ্চলের ভিতরেই ধান ও অন্যান্য শস্য় চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কারণেই ট্রাক্টর এবং অন্যান্য কৃষি-সরঞ্জাম সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি চৈতরাম অট্টমি বলেছেন, দলের বিশিষ্ট রাজ্য নেতাদের পূজারীর গ্রেফতারির বিষয়ে জানানো হয়েছে। দলীয় স্তরে পূজারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। জেলার সহ-সভাপতি পদে তার মেয়াদ ইতিমধ্য়েই ফুরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এই পদে নতুন কাউকে নিয়োগ না করায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পরও সে এই পদে আছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল