'সনিয়া বিষকন্যা'- কর্ণাটকের ভোট প্রচারে কংগ্রেস ও বিজেপির কু-কথার বন্যা

কর্ণাটকের ভোট প্রচারে কুকথায় কংগ্রেস বিজেপির লড়াই। মল্লিকার্জুন খাড়গের বিষধর সাপ মন্তব্যের পাল্টা এবার সনিয়াকে বিষধর সাপ বলল বিজেপি বিধায়ক।

 

কর্ণাটকের ভোট প্রচার যতই সুর চড়াচ্ছে ততই ভাষার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রচারে গিয়ে আত্মহত্যার মত ঘটনা নিয়ে কৌতুক করেছেন। কিন্তু ভারতের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান রীতিমত অবাক করার মত। তারপরই কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এবার তার পাল্টা বিজেপি বিধায়ক বাসনাগৌড়া ইয়াতনালে কংগ্রেসকে নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে বিষকন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি সনিয়া গান্ধীকে চিন ও পাকিস্তানের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেছেন একটি জনসভায়।

বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, 'পুরো বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গ্রহণ করেছে। আমেরিকা প্রধানমন্ত্রীকে রেড কার্পেটে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বর্তমানে বিশ্ব নেতার মর্যাদা অর্জন করেছেন।কিন্তু কংগ্রেস তাঁকে কোবরার সঙ্গে তুলনা করেছে। বলেছে প্রধানমন্ত্রী বিষাক্ত। কংগ্রেস নেতারা সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে নেচে নেচে এজাতীয় মন্তব্য করেছে। সেই সনিয়া গান্ধী একজন বিষকন্যা। তিনি চিন ও পাকিস্তানের এজেন্ট। যারা ভারতকে ধ্বংস করছে।'শুক্রবার বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের পরই কর্ণাটকের ভোট রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে।

Latest Videos

বিজেপি বিধায়কের আগেই কর্ণাটকের ভোট প্রচারে গিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তিনি গদগ জেলার নির্বাচনী প্রচার সভায় বলেছিলেন,'মোদী একটা বিষধর সাপের মত।' যদিও এই মন্তব্যের পর প্রবল সমালোচনার ঝড় ওঠে। খাড়গে নিজের মন্তব্য থেকে সরে আসেন। তিনি বলেছেন, তিনি কারও অনুভূতিতে আঘাত করতে চাননি। ইচ্ছে করে তিনি এজাতীয় মন্তব্য করেননি। তিনি আরও বলেন, তিনি কখনও মোদীকে লক্ষ্য করে এজাতীয় মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিজেপির নীতি আর আদর্শ।

অন্যদিকে শুক্রবার বিজেপি নেতার কংগ্রেস নেত্রীকে লক্ষ্য করে বিষকন্যা মন্তব্য নিয়ে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। কংগ্রেস সনিয়া গান্ধীর ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলেছে, সনিয়া গান্ধীকে গালাগাল আর অপমান করাই বিজেপির মূল উদ্দেশ্য। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, কর্ণাটকে বিজেপি পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই নেতারা মানসিক আর রাজনৈতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই কারণেই এজাতীয় অ-রাজনৈতিক মন্তব্য করছে।

আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। ফল প্রকাশ ১৩ মে। কংগ্রেসের দাবি এবার তাদের জোট কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরবে। অন্যদিকে বিজেপি নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিতে মুখরিত বাংলাদেশ! হিন্দু নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উত্তাল Bangladesh
দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
'Firhad Hakim ও Kalyan Banerjee কে ফের একবার তীব্র আক্রমণ Humayun Kabir-এর, দেখুন কী বললেন
'বাংলাদেশের তালিবান ইউনূস হুঁশিয়ার' চরম হুমকি শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Bangladesh
চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে বিধানসভায় বিক্ষোভ Suvendu-র! | Suvendu Adhikari