দেশের একটা বড় অংশ বন্যার কবলে। অনেক জায়গাতেই জল নামতে শুরু করলেও কেরল, কর্ণাটক, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গুজরাট সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য এখনও বন্যার ক্ষতি সামলে উঠতে পারেনি। দেশজুড়ে বৃষ্টি, ধস, বন্যায় ৩০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে কেরল। দক্ষিণের এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ।
ক্ষতির বিচারে কেরলের পরেই রয়েছে কর্ণাটক। রাজ্যের ২২টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় ৭৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ১০ জনের। প্রায় ৬.৯ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৭৫,৩১৭টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ১০০০-এর বেশি প্রাণীরও মৃত্যু হয়েছে।
এই অবস্থায় দক্ষিণের এই রাজ্য এখন পুনর্গঠনের জন্য তৈরি হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই কর্ণাটকের বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অনুদানের জন্য আবেদন করেছেন। টুইট করে তিনি লিখেছেন, বন্যার কারণে কর্ণাটক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই প্রয়োজনের সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন কোম্পানিগুলিকে রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করেছেন তিনি। কর্পোরেট সংস্থাগুলির যে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি তহবিল বা সিএসআর থাকে তা তিনি বন্যাত্রাণে দান করার আহ্বান জানিয়েছেন। সিএসআর-এর সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আরও দান করার আবেদন রেখেছেন বিজেপি সাংসদ।