প্রসাদ আরও বলেন আগে বিহার, বা অন্য কোনও রাজ্যে ভোটে এরকম হত্যালীলা চলত। এখন সেসব অনেক পরিমাণে কম। তাহলে বাংলা এমন রূপ কেন দেখাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ভোট লুঠ হল বলা চলে।
শনিবার বাংলা জুড়ে হিংসার তান্ডব চলল। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের বাংলায় এই পরিবেশ মেনে নেওয়া যায় না। এই ভাষাতেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কড়া নিন্দা করল বিজেপি। এদিন বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, রাজ্য জুড়ে যেভাবে হত্যালীলা চলল, তা নিন্দনীয়। বিজেপি কখনই এই ধরণের পরিবেশ সমর্থন করে না। একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, একাধিক মানুষ আহত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে কোন স্তরে নামিয়েছেন, তা দেখা যাচ্ছে।
এদিন প্রসাদ আরও বলেন আগে বিহার, বা অন্য কোনও রাজ্যে ভোটে এরকম হত্যালীলা চলত। এখন সেসব অনেক পরিমাণে কম। তাহলে বাংলা এমন রূপ কেন দেখাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ভোট লুঠ হল বলা চলে। মমতা সরকার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট করাচ্ছে, তার মানে কী বিরোধীদের একের পর এক সমর্থকের প্রাণ যাবে, এদিন প্রশ্ন করেছেন বিজেপি সাংসদ।
উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে শনিবার হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। একের পর এক রক্তপাত, প্রাণহানি, বন্দুক, গুলি আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ভারী বুটের শব্দ ছাপিয়েই শনিবার ৮ই জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট চলল। যাবতীয় অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন।
একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে ১১ জনের প্রাণ গেল। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রইল ভোটের দিনও। শনিবার সকাল থেকে বোমা গুলিতে উত্তপ্ত হয়ে ছিল গণতন্ত্রের উৎসবমঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালদা ,মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার -সহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
কোথাও চলছে দেদার ছাপ্পা ভোট, কোথাও ১ ঘণ্টাতেই ভোটগ্রহণ শেষের পরিস্থিতি, কোথাও লুঠ হয়ে গিয়েছে ব্যালট। পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণে বেনজির সন্ত্রাস, রক্তপাত আর আতঙ্কে দীর্ণ গ্রামবাংলার জনমত। অশান্তি কিছুতেই থামছে না পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায়। অশান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৮ জুলাই, নির্বাচন শুরু হওয়ার পরেই রাজভবন থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই নির্দল প্রার্থীকে মারধর ও অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে টাকি রোডের ওপর। অশান্তি থামাতে এসে বিফল হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গিয়েছে পুলিশ।