সপ্তাহ-খানেক আগের সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে। জ্বালানী তেলের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই অবস্থায় ভারতের ভয় আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে গোয়েন্দা তথ্য। জানা গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই মহম্মদ'এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাতে এসে গিয়েছে, ড্রোন। তারা ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দর-সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ড্রোন মারফতই আইই়ি হামলা চালাতে পারে। অথচ ভারতের হাতে এখনও ড্রোন-প্রতিরোধী কোনও ব্যবস্থাই নেই।
গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসেছে বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ। দেশের ও বিদেশের বেশ কিছু ড্রোন-প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরির সংস্থাকে ভারতে ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ডাকা হয়। গত তিন মাস, ধরে ইসরাইল, জার্মানি ও বারতের বেশ কিছু ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা নির্মাতা দিল্লির রোহিনি এলাকায় ফিল্ড টেস্ট দিয়েছে।
এই ক্ষেত্রে সিআইএসএফ-এর তরফে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। প্রথমত নিজেদের ড্রোন বা বিমানকে আগাত না করে শুধুমাত্র শত্রুপক্ষের ড্রোনেরই ক্ষতি সাধন করবে। দ্বিতীয়ত, তা করতে গিয়ে যোগায়োগ ব্যবস্থা অচল করলে চলবে না। কিন্তু ফিল্ড টেস্টে আসা কোনও সংস্থাই এই দুই শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
ফলে এখন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাস্তায় হাঁটছে সিআইএসএফ। ডিআরডিও-এর সঙ্গে মিলে ভারতের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি 'নেত্র ড্রোন'টি বানিয়েছিল 'আইডিয়াফোর্জ' নামে বম্বে আইআইটি-র প্রাক্তনীদের একটি সংস্থা। তাদেরকেই ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থার নীল নকশা তৈরির বরাত দিয়েছে সিআইএসএফ।
সংস্থার সিইও অঙ্কিত মেহতা জানিয়েছেন, বিশ্বে ড্রোন-প্রতিরোধী প্রযুক্তি যা রয়েছে, তার বেশিরভাগই নির্বিচারে জিপিএস এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে জ্যাম করে দেয়। তাই তাঁদের সংস্থা এই ব্যবস্থাকে আরও সংহত করে তুলছে। এই বছরের শেষের দিকেই ভারতের হাতে দেশীয় ড্রোন-প্রতিরোধী সমাধান এসে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।