হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পরের পর গুলি! মুহূর্তের মধ্যে লুটিয়ে পড়ল বাড়ির চার সদস্য, ভয়ঙ্কর ঘটনা জানলে আঁতকে উঠবেন
ভারতের উত্তর প্রদেশের আমেঠিতে নিজের বাড়িতে এক স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। হঠাৎই বাড়িতে ঢুকে সমস্ত সদস্যদের উপর গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
আহোরওয়া ভবানী মোড়ের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুনীল কুমার, তাঁর স্ত্রী পুনম এবং তাঁদের পাঁচ ও দুই বছরের দুই মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে যে ডাকাতির কোনও চিহ্ন নেই এবং অপরাধের পিছনে উদ্দেশ্য অস্পষ্ট রয়ে গেছে। পুলিশ সুপার অনুপ কুমার সিং জানিয়েছেন, সুনীলের বিরুদ্ধে আইনি বিবাদ সহ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৮ ই আগস্ট পুনমের দায়ের করা একটি মামলাই এই ঘটনার কারণ হতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ। চন্দন ভার্মা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হেনস্থা, মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল পুনম। এসপি অনুপ সিং জানিয়েছেন, এর আগে এসসি/এসটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত করার কথা বলেছেন তিনি।
টুইটে তিনি লেখেন, "আমেঠি জেলায় আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই শোকের মুহূর্তে মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই ঘটনার দোষীদের কোনও মূল্যে ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনীল সিংপুর ব্লকের পানহোনা কম্পোজিট স্কুলে কর্মরত সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ২০২০ সালে শিক্ষক হওয়ার আগে তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। আহত চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।