সোমবার লোকসভায় বিপুল ভোটে পাস হল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) ২০১৯, বিল। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় বিলের প্রস্তাব পেশ করতেই এর বিরোধিতায় উত্তাল হয় অধিবেশন। কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরি দাবি করেন, এই বিল আনা হচ্ছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আইনের নিশানায় আনার জন্য। এর জবাবে অমিত শাহ দাবি করেন, এই বিল ০.০০১ শতাংশও এই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) ২০১৯, বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর আগে নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অন্তত ১২ বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভারতে বসবাস করতে হত। নয়া বিলে এই সময়কাল কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে।
এই বিলের মাধ্যমে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ-এর উপর থেকে বেআিনি অনুপ্রবেশকারীর তকমা ঘুঁচবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরের শুরুতেই লোকসভায় এই বিল পাস হয়েছিল। কিন্তু, রাজ্যসভায় বিলটি আটকে গিয়েছিল। এর মধ্য়ে লোকসভা ভোট এসে যাওয়ায়, প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিলটিও বাতিল হয়ে যায়। এইবার নতুন করে বিলটি পাস করানো হল। মঙ্গলবারই বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। তিন তালাক বিল, ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো এই বিলটিও রাজ্যসভায় বিনা বাধাতেই পাস হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।