এর আগে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছিলেন ইমরান খান। ফের একবার ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলালেন ইমরান খান। তাঁর মতে নাগরিকত্ব বিল হিন্দু রাষ্ট্র গড়ারই নকশা। এই নিয়ে মোদী সরকারের পাশাপাশি আরএসএস-কেও আক্রমণ করেছেন তিনি।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক, মঙ্গলবার ফের লোকসভায় দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে কংগ্রেসের অবস্থা স্বাভাবিক তিনি করতে পারবেন না বলে এদিন তীব্র কটাক্ষ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে উপত্যকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু, তাঁর পক্ষে কংগ্রেসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের ধারণা ছিল এতে কাশ্মীরে রক্ত ঝড়বে। তাতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার সুযোগ পেত কংগ্রেস। কিন্তু তাদের সেই ভবিষ্যতবাণী ফলেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি ২৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। একটি গুলিও চলেনি। ৯৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে। শ্রীনগরে সাত লক্ষ লোক গহাসপাতালের আউটডোরের পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। সব এলাক থেকেই কারফিউ এবং ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এরপরই কংগ্রেস ও কংগ্রেস দলের পরিষদীয় দলনেতা, অধীর রঞ্জন চৌধুরী-কে তীব্র কটাক্ষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তবে এটা অধীররঞ্জনজি-দের পক্ষে স্বাভাবিকতা নয়। তাঁদের কাছে স্বাভাবিকতার একমাত্র পরিমাপ হল রাজনৈতিক কার্যকলাপ। তাহলে সম্প্রতি য়েখানে যে স্থানীয় নির্বাচন হল, সেই সম্পর্কে কী বলবেন?'
এদিন লোকসভায় কংগ্রেস জিজ্ঞাসা করেছিল, কাশ্মীরের আটক থাকা রাজনৈতিক নেতাদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে? এর জবাবে অমিত শাহ তোলেন কংগ্রেস আমলে ফারুক আবদুল্লাহর বাবা শেখ আবদুল্লার বন্দি থাকার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস ফারুক আবদুল্লার বাবাকে ১১ বছরের জন্য কারাগারে রেখেছিল। আমরা তাদের অনুসরণ করতে চাই না। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলেই সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মুক্তি দেওয়া হবে'।