ভাষা থেকে বিষয়, সম্পূর্ণ শিক্ষার মূল ভিত্তিতেই পরিবর্তন আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় বোর্ড।
শিক্ষার্থীরা যাতে একটি বোর্ড বদল করে সহজেই অন্য যেকোনও বোর্ডের পড়াশোনা রপ্ত করে নিতে পারে, সেই সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সমতা নিয়ে আসতে চলেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা CBSE । স্বাধীনতার পর থেকে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য যে পাঠক্রম চালু রয়েছে, সেই পাঠক্রমে এবার মূল ভিত্তিগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্রীয় বোর্ড।
-
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ১ বছরের মধ্যে পড়ুয়াদের একটি বিষয়ে পড়ানো হবে মোট ১২০০ ঘণ্টা। পুঁথিগত বা বইয়ের বাইরের যেকোনও বিষয়ই এই সময়সীমার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ১২০০ ঘণ্টার পড়াশোনার শেষে পরীক্ষার্থীকে ৪০টি ক্রেডিট দেওয়া হবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির সিলেবাসে আরও বেশি পঠনের বিষয় যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সিবিএসই (CBSE)। ‘ভোকেশনাল’ এবং ‘ট্রান্সডিসিপ্লিনারি’ কোর্সও পড়ানোর কথা বলা হয়েছে। নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এই পরিকল্পিত কাঠামোগত পরিবর্তনগুলির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
-
নবম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ২ টি ভাষার বদলে ৩টি ভাষা পড়ার কথা বলা হয়েছে। ৩টি ভাষার মধ্যে অন্তত ২ টি ভারতীয় ভাষা হতে হবে। বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৫ টির বদলে ১০টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। একইভাবে, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য একটির পরিবর্তে ২ টি ভাষা, যার মধ্যে একটি ভারতীয় ভাষা শেখার কথা বলা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৫ টির পরিবর্তে ৬ টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়ম চালু করা হতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।