
৩৫টি ওষুধের উৎপাদন থেকে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ: ভারতে বন্ধ হতে চলেছে ৩৫টি ওষুধ। এই তালিকায় আছে পেইনকিলার, ফার্টিলিটি এবং নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট। ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, জরুরি ভাবে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে ৩৫টি ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ওষুধের তালিকায় আছে ব্যথার ওষুধ, ডায়াবেটিস বিরোধী ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, নিউরোপ্যাথিক ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, ফার্টিলিটি ওষুধ এবং নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট।
ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল যিনি CDSCO-র প্রধান, তিনি সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগ নিয়ন্ত্রকদের কাছে একটি বিশেষ টিঠি লিখেছেন। ১১ এপ্রিল এই চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে উল্লেখ আছে এমনটাই। নির্দেশ রয়েছে ৩৫টি ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধের। তালিকায় আছে পেইনকিলার, ফার্টিলিটি এবং নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্টের সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ আছে। এই সকল ওষুধ রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে।
এই নিয়ে DCGI রাজীব সিং রঘুবংশী জানান, ‘এটি জনস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার জন্য একটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই বিষয়টিকে জরুরি এবং গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
তাঁর দাবি কিছু ওষুধ রোগীর নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে তৈরি করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক বৈধতা (Science Validation)-র অভাবে ওষুধের মিথস্ক্রিয়া এবং অন্যান্য প্রভাব রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ।
বিভিন্ন রাজ্যে সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করে ওষুধের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকী, জানা গিয়েছে, এই সকল ওষুধ নিয়ে কোম্পানিগুলোকে তলব করা হলে তারা বলে যে রাজ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ লাইসেন্স পাওয়ার পর তারা ওষুধ বিক্রি করছে।
এই চিঠিতে এই সকল ওষুধের জন্য তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করতে এবং আইন ও নিয়মের বিধানগুলো কঠোর ভাবে মেনে চলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।