রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya refugees)দিল্লিতে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর (Hardeep Singh Puri) একটি ট্য়ুইট ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (Ministry of Home Affairs) তরফ থেকে জানানো হল দিল্লিতে (Delhi) কোনও ফ্ল্যাট দেওয়া হবে না রোহিঙ্গাদের।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দেওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে। কারণ জল্পনা ছড়িয়েছিল যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা তাদের প্রহরায় থাকবে দিল্লি পুলিসও। এমন কোনও সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি বলে জানান হয়েছে। সেই সঙ্গেই দিল্লি সরকারকে রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলকে ডিটেনশন কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর একটি ট্য়ুইটকে ঘিরে এই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ট্যুইটে তিনি লেখেন,'ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে (ইডব্লুএস) পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। এর পরেই তিনি বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ।'
এরপরই নিজদের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ডিটেনশন কেন্দ্রে রাখার কথাই বলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে দিল্লি সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরিত স্থানটিকে ”ডিটেনশন কেন্দ্র” হিসাবে ঘোষণা করেনি তাই এই কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছে । সেই কারনেই অবিলম্বে এই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । কেন্দ্র বুধবার স্পষ্ট করেছে যে, অবৈধ ভাবে আসা বিদেশী রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে মিডিয়ার কিছু অংশে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে, এটি পরিষ্কার করা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) নতুন দিল্লির বক্করওয়ালায় রোহিঙ্গা অবৈধ অভিবাসীদের EWS ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য কোনও নির্দেশ দেয়নি।”
প্রসঙ্গত, এ দেশে রোহিঙ্গা ইস্যু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একাধিক রাজ্য রয়েছে এই শরণার্থীরা। যাদের পুনর্বাসন সমস্যা নিয়ে লেগেছে রাজনীতির রংও। এই স কিছুই মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ট্য়ুইট ও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থান স্পষ্ট করার বিষয়টি নয়া মাত্রা যোগ করল।