আনুমানিক ৯৭০ টাকা ব্যায়ে চার তলা সংসদ ভবন নির্মাণ করেছে মোদী সরকার। সেখানে ১২২৪ জন সাংসদ একসঙ্গে বলতে পারবেন। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, খাবারের জায়গা, পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা ও লাইব্রেরি রয়েছে।
জল্পনার অবসান হতে পারে এই মাসেই। সূত্রের খবর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের মধ্যে থাকা নতুন সংসদ ভবন এই মাসেরই শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করতে পারে। সংসদের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মে মাসের শেষেই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ঠিক নয় বছর আগে ২৬মে ২০১৪ সালে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিল। আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই এটা মোদী সরকারের বিশেষ চমক হতে পারে।
আনুমানিক ৯৭০ টাকা ব্যায়ে চার তলা সংসদ ভবন নির্মাণ করেছে মোদী সরকার। সেখানে ১২২৪ জন সাংসদ একসঙ্গে বলতে পারবেন। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, খাবারের জায়গা, পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা ও লাইব্রেরি রয়েছে। বিশাল সংবিধান হলও রয়েছে। রাজ্যসভা ও লোকসভার কর্মীরাও সেজে উঠবেন নতুন পোশাকে। সেই পোশাক তৈরি করেছে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশান টেকনোলজি। নতুন বিল্ডিং-এ তিনটি দরজা রয়েছে- জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার, কর্ম দ্বার। সাংসদ, ভিআইপি আর দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা দরজা রয়েছে প্রবেশের জন্য। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথষ্টে জোরদার করা হয়েছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজেপি দেশের সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রচারে জোর দিচ্ছে। এক মাস ব্যাপী এই প্রচার অভিযান চালাবে বিজেপি। সেখানেও নতুন সংসদ ভবন তুলে ধরা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ মে একটি বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে প্রচার শুরু করবেন বলেও বিজেপি সূত্রের খবর। পরের দিন ৩১ মে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের বিজেপির সিনিয়র নেতাদের ৫১ সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজেপি মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তিকে বড় করে তুলে ধরতে চাইছে। সেখানে রীতিমত গুরুত্ব পেতে পারে নতুন সংসদ ভবন।
সেন্ট্রাল ভিস্তাপ্রকল্প নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এই প্রজেক্টের জন্য একাধিক বহু পুরনো আর ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটা পড়েছে। পাশাপাশি দিল্লির ঐতিহ্য নষ্ট করা হবে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। একটি ত্রিভূজাকার সংসদ ভবন, সাধারণ কেন্দ্রীয় সচিবালয় আর প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাসভবন তৈরিও সেন্ট্রাল ভিস্তা পরিকল্পনার অধীনে রয়েছে। লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের জন্য ২২টি গাছ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বদরপুরের ইকোপার্ক আর সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ থেকে গাছ সরানোর আর কোনও প্রস্তাব আসেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন উপড়ে ফেরা বা সরানো প্রতিটি গাছের জন্য় ১০টি করে চারা লাগানোর প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলি বদরপুরের ইকোপার্কে লাগান হবে।