শীতের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সমখ্যা নিম্নগামী ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও বিশেষজ্ঞদের স্বস্তি দিয়ে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বসন্তে হাওয়া দিতে দিতে বদলে যাচ্ছে ছবিকে। দেশের পাঁচটি রাজ্যে রীতিমত উর্ধ্বগামী করোনা-গ্রাফ। ররিবার কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট পাঁচটি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছে। একই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে রোগের বিস্তার ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো পরামর্শ দিয়েছে। স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের মতে দেশে মোট সক্রিয় কেসলোডের ৭৪ শতাংশেরই কেরল ও মহারাষ্ট্র থেকে। এই দুটি রাজ্য ছাড়াও ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেশি বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাসাপাশি পঞ্জাব ও জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
১. আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুপাত বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে।
২. সমস্ত নেতিবাচক ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফলগুলি বাধ্যতামূলকভাবে আরটি পিসিআর পরীক্ষার সঙ্গে অনুসরণ করা উচিৎ। যাতে প্রাথমিক নেচিবাচক ফলাফল কোনও ক্ষেত্রে নজর এড়িয়ে না যেতে পারে।
৩. নির্বাচিত জেলাগুলিতে কঠোর ও ব্যাপক নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। কঠোর নিয়ন্ত্রণের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
৪. জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে মিউট্যান্ট স্ট্রেনগুলির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পাশাপাশি মামলার উদীয়মান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৫. যেসব জেলাগুলিতে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে সেগুলির ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থার দিকে নজপর রাখতে হবে।
শনিবারও কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, কেরল,স মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন নতুন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেরল আর মহারাষ্ট্র প্রথম থেকে উদ্বেগের মধ্যে ছিল। এখনও পর্যন্ত তার সুরাহা হয়নি বলেও জানিয়েছে প্রশাসান। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৯,৯১, ৬৫১। এখনও পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।