সোমবার শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্র জানিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাই তাদের সেই তকমা দেওয়া হোক।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দরবার করল কেন্দ্র। সোমবার শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্র জানিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাই তাদের সেই তকমা দেওয়া হোক। নতুবা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি আবেদনের জবাবে জমা দেওয়া হয়েছিল এই তথ্য। অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর আনা মামলায় মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, লক্ষদ্বীপ, লাদাখ ও কাশ্মীরে হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু মর্যাদা চাওয়ার আবেদন জানিয়ে ছিলেন। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে রাজ্যগুলি চাইলে এখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে। তাহলে কেন্দ্রের বিভিন্ন সংখ্যালঘু প্রকল্পের অংশীদার হতে পারবে হিন্দুরা। উল্লেখযোগ্য যে, ভারতে এখন পর্যন্ত মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসিরা সংখ্যালঘু শ্রেণিভুক্ত।
কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে, ভাষার ভিত্তিতেও সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া যায়। কর্ণাটক সরকার ইতিমধ্যেই উর্দু, তেলেগু, তামিল, মালয়েলাম, মারাঠি, টুলু, লামজি, হিন্দি, কংকোনি ও গুজরাটি ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা ভুক্ত করেছে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে যে হিন্দু, ইহুদি, বাহাইধর্মের অনুসারীরা উল্লিখিত রাজ্যগুলিতে তাদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে পারে কিনা এবং রাজ্যের মধ্যে সংখ্যালঘু হিসাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কিত বিষয়গুলি রাজ্য স্তরে বিবেচনা করা যেতে পারে।
উপাধ্যায় ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশন ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট, ২০০৪-এর ধারা ২(এফ) এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি বলেন এর বলে কেন্দ্র লাগামহীন ক্ষমতা পেয়েছে, যা অযৌক্তিক এবং আপত্তিকর।
শিক্ষাগত এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমনাধিকারের জন্য হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলে ঘোষণা করা যেতে পাতে। সুপ্রিম কোর্টকে একটি জনস্বার্থ মামলায় এই কথা জানিয়ে দিলো কেন্দ্র। আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলা এনেছিলেন যে, হিন্দুরা যে যে রাজ্যে সংখ্যালঘু সেখানে কেন তারা এই স্ট্যাটাস ভোগ করে অন্য সংখ্যালঘুদের মতো শিক্ষা ও অন্যক্ষেত্রে সুবিধা পাবে না? সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠায়। তার জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার ওই তথ্য জানিয়ে বলছে, ভাষা, নাগরিক সংখ্যার ভিত্তিতে কোনো জনগোষ্ঠী যদি সংখ্যালঘু হয় তবে তারা সংখ্যালঘু স্ট্যাটাস পেতে পারে।