দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর
ঠিক এক বছর আগেই যাত্রা শুরু করেছিল চন্দ্রযান-২
ল্যান্ডিং-এ সফল না হলেও আংশিক সফল হয়েছিল অভিযান
একবছর পর মহাকাশে কেমন আছে চন্দ্রযান-২
দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল চন্দ্রযান-২, অর্থাৎ ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযান। বাহুবলী নামে পরিচিত দারুণ শক্তিশালী জিএসএলভি মার্ক ৩ রকেট-এর সাহায্যে কাটিয়েছিল মাধ্যাকর্ষণের বাধা। দেশের মগাকাশ চর্চার এমন এক ঐতিহাসিক দিনের এক বছর পূর্তির ঠিক আগের দিন, মঙ্গলবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযানের অরবাইটরের সমস্ত পে-লোডগুলি খুব ভালো কাজ করছে।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অভিযানের পরিকল্পনা অনুযায়ী চাঁদের পৃষ্ঠতল ও মেরু অঞ্চলের বিশদ মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। চন্দ্রযান-২ এর পে-লোড-এর মাধ্যমে চাঁদের মেরু অঞ্চলগুলিতে জল বা বরফের উপস্থিতি, খনিজ সম্পর্কে এক্স-রে ভিত্তিক এবং ইনফ্রারেড ভিত্তিক তথ্য এবং মধ্য এবং উচ্চ অক্ষাংশে আর্গন-৪০ গ্যাসের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তার ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন প্যারামিটার। অরবিটার হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা বা ওএইচআরসি-র মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথ থেকে প্রায় ১০৫৬ বর্গ কিমি এলাকার ২২ টি ছবি তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতের অভিযানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ল্যান্ডিং সাইট খোঁজার কাজও চলছে চন্দ্রযান-২'এর অরবাইটরের মাধ্যমে।
ইসরো আরও জানিয়েছে চন্দ্রায়ণ-২'এর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত প্রধান প্রধান তথ্যগুলির প্রতিবেদন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে বার্ষিক অ্যানুয়াল লুনার প্ল্যানেটরি সায়েন্স কনফারেন্সে প্রকাশ করা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কোভিড-১৯ এর কারণে সেই সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে। পরিপর্তিত পরিস্থিতিতে চন্দ্রায়ণ-২ থেকে প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলী প্রকাশ করা হবে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে।