চন্দ্রযান-থ্রি ল্যান্ডারের প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতা থেকে চাঁদে অবতরণ করতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগলে। প্রক্রিয়া চলাকালীন, বিক্রম ল্যান্ডার থেকে র্যাম্পের সাহায্যে ৬ চাকার রোভারটি চাঁদে অবতরণ করল।
ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের চোখ ছিল চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের দিকে। কয়েক কোটি ভারতবাসীর চোখে আনন্দের জল। ইসরোর স্বপ্নের চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং সফল ভাবে করল। চন্দ্রযান ২য়ের ব্যর্থতা উড়িয়ে দিয়ে দেশের অনেক আশার এই মহাকাশযান চাঁদের বুকে ভারতের তেরঙা ওড়াল। ।
ইসরো জানিয়ে ছিল, চন্দ্রযান-থ্রি ল্যান্ডারের প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতা থেকে চাঁদে অবতরণ করতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগবে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, বিক্রম ল্যান্ডার থেকে র্যাম্পের সাহায্যে ৬ চাকার রোভারটি চাঁদে অবতরণ করবে। এই প্রক্রিয়া সফল হল।
সফ্ট ল্যান্ডিং কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন একটি মহাকাশযান এমনভাবে কোনও গ্রহে অবতরণ করা হয় যাতে তার কোনও ধরনের ক্ষতি না হয় সেই প্রক্রিয়াটিকে সফট ল্যান্ডিং বলে। বিপরীতে, হার্ড ল্যান্ডিংয়ে, এতে উপস্থিত মেশিন এবং সরঞ্জামের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই কারণে পুরো মিশনটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থাকলেও কোনও বিপত্তি বাঁধেনি।
বহুল প্রতীক্ষিত ইভেন্টটি ২৩ আগস্ট অর্থাৎ বুধবার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়াও ISRO-এর ওয়েবসাইট, এর YouTube চ্যানেল, ISRO-এর Facebook পৃষ্ঠা এবং DD (দূরদর্শন) জাতীয় টিভি চ্যানেল সহ একাধিক প্ল্যাটফর্মে বিকাল ৫.২৭ এ শুরু হয়।
চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদে সফল অবতরণ দেখতে আগ্রহী ছিল গোটা দেশ। এই প্রক্রিয়াটি মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন হত এবং গোটা প্রক্রিয়ার সবচেয়ে কঠিন পর্যায় ছিল এটি। ইসরোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন, শেষ ১৫-২০ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সব স্বপ্ন অবশেষে সফল হল।