চোখের পলকে সেই এলাকা জুড়ে হৈ হৈ রব শুরু হয়ে যায়। শিশুটি যাতে কোনও ভাবেই নীচে পড়ে না যায় এরজন্য প্রতিবেশীরা মরিয়া চেষ্টা করে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে একটি শিশুকে উদ্ধারের ঘটনা সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাক্রমে ছাদের ধারে পৌঁছে যায় শিশুটি। প্রতিবেশীদের চোখে পড়তেই তারা একজোট হয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধারের চেস্টায় লেগে পড়ে। কয়েকজন নীচে চাদর ধরে রাখে তো একজন বাড়ি থেকে ম্যাস্ট্রেস বেড় করে নিয়ে আসেন। চোখের পলকে সেই এলাকা জুড়ে হৈ হৈ রব শুরু হয়ে যায়। শিশুটি যাতে কোনও ভাবেই নীচে পড়ে না যায় এরজন্য প্রতিবেশীরা মরিয়া চেষ্টা করে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য।
আসলে শিশুটি দুর্ঘটনাবশত ছাদের প্লাস্টিকের শীটে পড়ে যায়। এটা দেখে হাউজিং সোসাইটির সজাগ ও সাহসী লোকজন শিশুটিকে বাঁচাতে না আসলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ত। প্রত্যেকেই তাদের জীবনের মূল্য দিয়ে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়া একটি শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে থাকে। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারা শিশুটিকে বাঁচিয়েছেন তাদের প্রশংসা ভরে গিয়েছে এই পোস্টটির কমেন্ট বক্স।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
আসলে, ভেঙ্কটেশ-রাম্যা দম্পতি চেন্নাইয়ের কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। তাদের কিরণময়ী নামে ৭ মাসের একটি মেয়ে রয়েছে। আজ সকালেও যথারীতি রম্যা বারান্দার কাছে দাঁড়িয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। তখন শিশুটি বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে বারান্দার নিচে একটি ফাইবার ছাদ থাকায় শিশুটি তাতে পড়ে যায়। এই সময় শিশুটির মা রম্যা চিৎকার করেন। কারণ শিশুটি ৫ ফুট উঁচু ফাইবার শিট থেকে গড়িয়ে গেলে তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে যাবে। এই সময় রম্যার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে এসে শিশুটিকে রাস্তার মাঝখানে কাঁদতে দেখে হতবাক হয়ে যায়।
সবাই উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছেন
এদিকে শিশুটি ধীরে ধীরে পিছলে লোহার ছাদের ধারে একটি জায়গায় পৌঁছে যায়। সে এক ইঞ্চিও সরে গেলে শিশুটি নিচে পড়ে যেত। তা দেখে সেখানে উপস্থিত লোকজন ভয়ে চিৎকার শুরু করে। তখন সেখানে উপস্থিত হরি নামে এক যুবক সাহসিকতার সঙ্গে বাড়ির জানালা দিয়ে বারান্দা থেকে বেরিয়ে দ্রুত শিশুটির পা ধরে উপস্থিত লোকজনের হাতে তুলে দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
এই ভিডিওটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শিশুটিকে এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার অবস্থা ভালো আছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর শিশুটির বাবা-মাকে শিশুটিকে সাবধানে পরিচালনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।