গণধর্ষণের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী কিশোরী, মৃত্যুর পরেও কি বিচার পাবে

Published : Oct 08, 2020, 09:09 AM ISTUpdated : Oct 08, 2020, 11:03 AM IST
গণধর্ষণের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী কিশোরী, মৃত্যুর পরেও কি  বিচার পাবে

সংক্ষিপ্ত

গণধর্ষণের কথা বলতে না পেরে আত্মহত্যা আত্মহত্যা করে নাবালিকা  মেয়ের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার পাবেননা  সেকথা ভেবেই আত্মহত্যার চেষ্টা বাবার   

বেআব্রু হওয়ার যন্ত্রণা আর অপমান সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা নিজেকে শেষ করে দিল। আর মেয়ের ওপরে চলা অন্যায়ের বিচার না পেয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবা। যদিও নির্যাতিতার বাবাকে বাঁচানো গেছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আত্মঘাতী নাবালিকা কী গণধর্ষণের বিচার পাবে। কারণ নির্যাতিতার মৃত্যুর পর দুমাস শুধুমাত্রা এফআইআর দায়ের করতেই সময় নিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছর জুলাই মাসে। ছত্তিশগড়ের কোন্ডাগাঁও জেলার বাসিন্দা ছিল নির্যাতিতা নাবালিকা। বাবা মায়ের সঙ্গে পাশের গ্রামে গিয়েছিল। সেখানেই তাঁকে দুই যুবক তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলে। পরে তাঁদের সঙ্গে আরও পাঁচ জন যোগদেয়। সাতজনে মিলে দীর্ঘ সময় ধরে ১৬-১৭ বছরের মেয়েটিকে লাগাতার ধর্ষণ করে। পরে অবশ্য অভিযুক্তরাই নির্যাতিতাকে বিয়েবাড়ি পৌঁছে দিয়ে যায়। তবে গণধর্ষণের কথা কাউকে জানালে নির্যাতিতাকে খুন করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছিল। নির্যাতিতা বেআব্রু হওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন পরে আত্মহত্যা করে। কিন্তু তার আগে সে তার নির্যাতনের কাহিনী জানিয়েগিয়েছিল এক বন্ধুকে।


নির্যাতিতার মৃত্যুর পর সেই বন্ধুই তার বাবা আর মাকে পুরো ঘটনা জানায়। তারপরই নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি উদাসীন ছিল। মেয়ের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার পাওয়ার কোনও আশা না দেখতে মেয়ে নির্যাতিতার বাবা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে  ময়নাতদন্তের জন্য নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

পুলিশের তরফে জানান হয়েছে এমন অনেক পরিস্থিতিত রয়েছে যেখানে সাধারণ মানুশ জানেই না কী করে বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো যায়। কারণ নির্যাতিতার বাব ধরেই নিয়েছিলেন যে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর পর দুমাস পার হয়ে গেছে। তাই গণধর্ষণের বিচার পাওয়ার আর কোনও রাস্তা নেই। আর সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শিশু আধিকার রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে যেসব পুলিশকর্মী গাফিলতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযার আবেদন জানান হয়েছে। পুলিশও ইতিমধ্যে সাত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights: যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিল ইন্ডিগো! কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের