ধোঁয়ায় ঢেকেছে দিল্লি শহর। বাতাসের গুণমান নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা 'সফর ইন্ডিয়া' দিল্লিকে একেবারে লাল রঙে রাঙিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে কতটা খারাপ অবস্থা দিল্লির বায়ুমণ্ডলের। পরিবেশ ও আবহাওয়া গবেষকরা সতর্ক করছেন, এই পরিস্থিতিতে বাইরে না বের হওয়াই ভাল। হাঁটা বা দৌড় তো নৈব নৈব চ। কিন্তু তারপরেও বৃহস্পতিবার সরকারের 'ঐক্যের জন্য দৌড়' কর্মসূচিতে ওই ধোঁয়ায় ঢাকা শহরের মধ্য দিয়েই কয়েকশ' শিশু-সহ কয়েক হাজার দিল্লিবাসীকে দৌড় করানো হল।
এদিন ছিল সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলের জন্মদিবস। এই দিনটি গত বছর থেকে ভারত সরকার 'রাষ্ট্রীয় একতা দিবস' হিসেবে পালন করছে। এদিনও দেশ জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে অন্যতম ছিল দিল্লির জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাীল সাতটা থেকে 'ঐক্যের জন্য দৌড়'। এই দৌড়ের সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে স্কুল-শিশুদের এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছিল একপ্রকার বাধ্যতামূলক।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, প্রায় ১.৫ কিলোমিটার রাস্তা পার করে ইন্ডিয়া গেট এলাকায় শেষ হয় এই দৌড়। দৌড়ে অংশগ্রহণকারীদের কারোর মুখেই দূষণ প্রতিরোধকারী মাস্ক-ও ছিল না। শুধু অমিত শাহ-ই নন, আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালও দিল্লিতে আর একটি জায়গায় এই ঐক্য়ের জন্য দৌড় কর্মসূচির সূচনা করেন।
দিল্লিতে এদিনও বাতাসের গুণমান গুরুতর ছিল বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দিল্লীবাসীকে অন্তত ভোরে ও সন্ধ্যায় বাইরে হাঁটাহাঁটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এদিন সকাল সাতটার সময়ে দিল্লির বাতাসের যা গুণমান ছিল, তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটাই ভাল হয়েছিল। এতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এই সরকারি কর্মসূচি কি আরও একটু বেলায় করা যেত না? অথবা দিল্লিতে এই কর্মসূচি বন্ধ রাখা যেত না? শিশুদের যদি শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়, তার দায় কে নেবে?