ভারত মহাসাগরের সামুদ্রিক ভান্ডারে চিনের নজর, ডায়ম্যান্টিনা ট্রেঞ্চে নামল জাহাজ

চিনের সরকারী সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের মতে, চিন দক্ষিণ-পূর্ব ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ডায়ামান্টিনা ট্রেঞ্চের ১০ হাজার মিটার গভীরতা পরিমাপ করেছে। আজ পর্যন্ত কোনো দেশ তা করতে পারেনি।

Web Desk - ANB | Published : Jan 24, 2023 6:23 AM IST

চিন তার গোয়েন্দা জাহাজের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। চিন সমুদ্রে তার মুকুটহীন রাজত্ব চায়। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের মতো দেশ যদি সমুদ্রে তার দখল শক্ত না রাখে, তাহলে আশেপাশের সমস্ত সমুদ্র এলাকা দখল করতে পারে চিন। এ লক্ষ্যে চিন এমন একটি কাজ করেছে, যা এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। চিন এমন সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ করেছে, যেখানে পৌঁছানোর কথা কেউ ভাবতেও পারে না। সাগরের গভীরতম স্থানে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়েছে চীন।

চিনের সরকারী সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের মতে, চিন দক্ষিণ-পূর্ব ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ডায়ামান্টিনা ট্রেঞ্চের ১০ হাজার মিটার গভীরতা পরিমাপ করেছে। আজ পর্যন্ত কোনো দেশ তা করতে পারেনি। সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধনের খোঁজ শুরু করেছে চীন। পৃথিবীর কোনো দেশই এই কীর্তি করতে পারেনি। চিনের ডিপ সি ভেহিকেল ফেনডোজে ডায়ামান্টিনা ট্রেঞ্চের সর্বোচ্চ গভীরতা পরিমাপ করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো দেশই এই অর্জন করতে পারেনি।

১০ হাজার মিটার গভীরে গিয়ে চিন কী পেল?

চিনের ডিপ সি ভেহিকেল ফেনডোজে ২২ জানুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত মোট ১৫৯টি ডাইভ করেছে। চিন একের পর এক ২৫ বার ১০ হাজার মিটার গভীরতায় গেছে। চিনের দাবি, এই জাহাজের কারণে এত গভীরতায় লোহা ও ম্যাঙ্গানিজের বিশাল ভান্ডার পাওয়া গেছে। গভীরতা মেপে চিন যে ফিরবে তা নয়। চিন একটি বিপজ্জনক মিশনে রয়েছে। বর্তমানে আরো ২২টি ডাইভ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই জাহাজটি মার্চ পর্যন্ত সাগরে থাকবে। এরপর চিন তাদের জাহাজ নিয়ে যাবে সানিয়া শহরে।

২০২২ সালের ৬ই অক্টোবর মিশন শুরু হয়েছিল

চিন সমুদ্রের অভ্যন্তরে বিদ্যমান গুপ্তধন খনি করতে চায়। এই কারণেই ৬ অক্টোবর ২০২২-এ চাইনিজ ডিপ সি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এই অপারেশন শুরু করেছিল। এই দলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫৬ জন বিজ্ঞানী রয়েছেন। সাংহাই জিয়াওটং ইউনিভার্সিটি এবং টংজি ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরাও এই মিশনে যুক্ত হয়েছেন। এখন সামুদ্রিক সম্পদ লুট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। এই অভিযান চলবে মার্চ পর্যন্ত।

 

Share this article
click me!