আজ যে কোনও মুহূর্তে নিখোঁজ ৫ জন ভারতীয় নাগরিককে ভারত সরকারের হাতে তুলে দিতে পারে চিন। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে এঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অরুণাচল প্রদেশের সুবানসিরি এলাকা থেকে এই ৫ জনের খোঁজ মিলছিল না। পরে চিনের পিএলএ জানায় এই পাঁচ জনকে তাদের ভূখণ্ড থেকে আটক করা হয়েছে।
কিরেণ রিজিজু টুইট করে জানিয়েছেন যে, 'চিনের পিএলএ জানিয়েছে ৫ ভারতীয় নাগরিককে তাঁরা ভারতের বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। কোনও একটি পূর্বনির্ধারিত স্থানে যে কোনও সময়ে এই হ্যান্ডওভার হবে।'
৮ সেপ্টম্বরই টুইট করে অরুণাচলের নিখোঁজ ৫ তরুণের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন কিরেণ রিজিজু। সেই সঙ্গে ওই পাঁচ তরুণ-ই চিনের হেফাজতে আটক রয়েছে বলে পিএলএ নিশ্চিত করে তাও টুইটে উল্লেখ করেন তিনি। রিজিজু-র এই টুইটের কিছু পরেই চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখপাক্ষ ঝাও লিজিয়ান এমন কোনও ৫ ভারতীয়-র চিনা ভূখণ্ডে আটকে থাকার কথা অস্বীকার করেন।
এমনিতে চিনের সঙ্গে ভারতের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর ভারত ও চিন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তবে সে চুক্তি ছিল পুরোপুরি সীমান্তে বসবাসকারী মানুষকে ঘিরে। সীমান্তে বসবাসকারী যদি কোনও দেশের মানুষ অন্য দেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে বা তাঁদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পকৃত কোনও বিষয়, অথবা ভুল করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পর করে এক দেশের কোনও কিছু অন্য দেশে ঢুকে পড়লে- তা নিয়ে একটা সমঝোতার রাস্তা খোলা রাখতে এই চুক্তি হয়েছিল।
৮ সেপ্টম্বর যেদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ৫ ভারতীয়র চিনের ভূখণ্ডে আটকে থাকার কথা জানিয়েছিলেন, সেদিন অসমের তেজপুরে সেনাবাহিনীর চতুর্থ ক্রপসের হেডকোয়ার্টার থেকে জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হর্ষ বর্ধন পাণ্ডে-ও জানিয়েছিলেন নিখোঁজ চিনের ভূখণ্ডে রয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর কোনওভাবে আফার সুবানসিরি-তে অনিচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত পার করে চিনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ফেলেছিলেন এই পাঁচ জন। এঁদের যাতে দেশে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য চিনা ফৌজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট হর্ষ।