নাগাল্যন্ডের মন জেলায় ওটিং গ্রামে সন্ত্রাসদমন অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই ১২ জনের মৃত্যু হয়।
ভুল করে সন্ত্রাসবাদী ভেবে ১২ জন গ্রামবাসীকে গুলি (firing incident) করে হত্যা করার অভিযোগ উঠল নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। নাগাল্যন্ডের (Nagaland) মন জেলায় (Mon district) ওটিং (Oting) গ্রামে সন্ত্রাসদমন অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনী (security forces) গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই ১২ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও (Neiphiu Rio)।
মায়ানমার (Myanmar) সীমান্তের কাছেই অবস্থিত নাগাল্যান্ডের মন জেলা। ফলে ওই জেলায় কয়েকদিন ধরেই সন্ত্রাসদমন অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে ঠিক সেই সময় একটি মিনি ট্রাকে চড়ে ওটিং গ্রামে ফিরছিলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় সন্ত্রাসবাদী ভেবে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বাহিনী। সেই গুলিতেই ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- আজ পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম কলকাতায়, ভ্যাট কমাতে ধর্মঘটের ডাক ঝাড়খণ্ডে
এদিকে অনেকক্ষণ ধরে তাঁদের বাড়ি ফিরতে না দেখে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাঁদের খোঁজ করতে শুরু করেন। তখনই ট্রাকের মধ্যে ওই ১২ জনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর রাগে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জঙ্গি ভেবে সাধারণ শ্রমিকদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। এই ঘটনার পরপরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে পাল্টা হামলা চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গাড়িতে স্থানীয়রা আগুন ধরিয়ে দেন। এই ঘটনায় এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও টুইটারে এই ঘটনার উল্লেখ করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। একে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অসম রাইফেলস-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অসমের সাংসদ গৌরব গগৈ। টুইটারে তিনি লেখেন, "নাগাল্যান্ডের মন জেলায় নাগরিকদের হত্যার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার সত্যি সামনে আসা দরকার।"