অনিল পুলিশকে বলে যে সে তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিক শাস্তি দেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করতে এসেছে। সে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কর্মীদের অনুরোধ করে।
তেলেঙ্গানার মাহাবুবাবাদ জেলার ওই থানায় তখন প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততা। আচমকাই এক শিশু থানার দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে পড়ে। এক শিশুকে থানায় দেখে রীতিমতো হতচকিত প্রত্যেক পুলিশ কর্মী। তারপর প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা।
কি ঘটেছিল ?
তেলেঙ্গানার মাহাবুবাবাদ জেলার বেয়ারাম মণ্ডলের একটি বেসরকারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া অনিল নায়েক থানায় পৌঁছয়। তার কাছে নির্দিষ্ট এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। শিশুটিকে থানায় আসতে দেখে মহিলা পুলিশ পরিদর্শক রমাদেবী তাকে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করেন সে কেন থানায় এসেছে ? অনিল জানান, ওই শিক্ষক তাকে মারধর করেন। পরিদর্শক শিক্ষককে মারধরের কারণ জানতে চাইলে অনিল বলেন, ভালোভাবে পড়াশোনা না করায় তাকে মারধর করা হয়েছে। এর পর পরিদর্শক জিজ্ঞেস করলেন, ওই শিক্ষক কি অন্য ছাত্রদেরও মারধর করেন? অনিল জানায়, না। ওই শিক্ষক শুধু তাকেই মারে।
অনিল পুলিশকে বলে যে সে তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিক শাস্তি দেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করতে এসেছে। সে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কর্মীদের অনুরোধ করে। মহিলা ইন্সপেক্টর শিশুটির কথা শুনে হতবাক হয়ে যান। তিনি শিশুটির অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এরপর শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য স্কুলে পৌঁছান তিনি। তবে শিশুটি কোনো আপসের জন্য প্রস্তুত ছিল না। শিশুটিকে অনেকক্ষণ বোঝানোর পর বিষয়টি শান্ত হয়।