বাবার মোবাইলে পেটিএম অ্যাকাউন্ট খুলল চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, সরিয়ে নিল ৩৫ হাজার

  • উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া
  • বাবার মোবাইলে পেটিএম অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা
  • ৩৫ হাজার টাকা সরিয়ে নেয় বালক
  • তদন্তে নেমে ধরল পুলিশ

debamoy ghosh | Published : Sep 6, 2019 8:54 AM IST

বাবা ভেবেছিলেন অনলাইন প্রতারণার শিকার তিনি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাজার, হাজার টাকা তুলে নেওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারল, আসলে ওই ব্যক্তির ৩৫ হাজার টাকা সরিয়ে নিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া তাঁরই ছেলে। 

উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা এই বালকের কীর্তিতে তাঁর বাবা তো বটেই, তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররাও থ হয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বাবার মোবাইলে পেটিএম অ্যাকাউন্ট খুলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেয় ওই বালক। অনলাই গেমস খেলার টাকা জোগাড় করতেই এই ফন্দি এঁটেছিল সে। 

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লখনউয়ের বাসিন্দা ওই বালক অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। অনেক অলাইন গেমস ডাউনলোড করতে গেলে অনলাইনেই পেমেন্ট করতে হয়। অনলাইন গেমস খেলতে মরিয়া ওই বাংলক টাকা জোগাড় করার অভিনব উপায় বের করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বাবার মোবাইল থেকেই চুপিচুপি একটি পেটিএম অ্যাকাউন্ট খোলে সে। সেই পেটিএম অ্যাকাউন্টটিই বাবার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেয় সে। এর পরে অনলাইন গেমস খেলার জন্য নিজের প্রয়োজন মতো বাবার পেটিএম ওয়ালেট থেকে টাকা মিটিয়ে দিতে থাকে সে। 

আরও পড়ুন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা মামলায় শাহরুখের হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের

প্রথম দিকে এই টাকার পরিমাণ কম খাকায় ওই বালকের বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি টাকা সরানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ওই বালক। তখনই বিষয়টি নজরে আসে ওই ব্যক্তির। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট বের করতেই টাকা সরানোর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এর পরেই অনলাই প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। 

তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশও বিষয়টি ধরতে পারেনি। চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকেও সন্দেহ করেনি কেউ। কিন্তু তদন্তকারীরা দেথেন, যে নম্বর থেকে টাকা সরানো হয়েছে, সেই মোবাইল নম্বরটিই ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা রয়েছে। এর পরেই ওই কিশোরের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পরে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে সে। ভুল স্বীকার করার পরে অবশ্য খুবই ভীত হয়ে পড়েছিল ওই বালক। সে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, বাড়িতে গেলে বাবা তাকে প্রচণ্ড মারধর করবেন। যদিও পুলিশের তরফে দীর্ঘক্ষণ কাউন্সেলিং করার পরে ওই বালককে বাড়ি পাঠানো হয়। 

Share this article
click me!