শুক্রবার রাতে এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার বৈঠক হয়। সেখানেই উদ্ধব ঠাকরেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবাই ঐক্যমত হয়। শনিবার সকালেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন অজিত পাওয়ার। অজিত পাওয়ার আবার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো। শনিবার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটক দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কলেজের এক অধ্যাপক। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তাঁকে ছুটির আবেদন করেন।
মহারাষ্ট্রের গাডচান্দপুর কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক জাহির সৈয়দ। চন্দ্রপুর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে এই কলেজটি অবস্থিত। জাহির সৈয়দ বলেন, 'সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর দেখে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। রাজ্যে রাজনীতিতে মহা নাটক চলছে। এসব দেখতে দেখতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমি ছুটির আবেদনও করি।' কিন্তু কলেজের প্রিন্সিপল সেই ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেন না বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওভাবে ছুটির আবেদনপত্রটি চলে আসে। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার রাতে এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনা একসঙ্গে বৈঠকে বসে। সেখানেই সবার অনুমতি নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে ঠিক হয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর হিসেবে শপথ গ্রহণ নিয়ে মুখ খুললেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের মানুষ জগাখিচুরি কোনও সরকার চায়নি। রাজ্যের মানুষের জনাদেশকে অস্বীকার করে শিবসেনা কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট করতে উদ্যোগ নিয়েছিল। যা রাজ্যের মানুষ কখনই মেনে নেবে না। শনিবার সকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। আটটায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। অন্য দিকে, অজিত পাওয়ারকে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলে ফেরানোর চেষ্টা এনসিপি করছে বলে জানা গিয়েছে।