'৫০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না কংগ্রেস', শাক দিয়ে আর যাচ্ছে না মাছ ঢাকা

Published : Aug 28, 2020, 03:34 PM ISTUpdated : Aug 28, 2020, 05:50 PM IST
'৫০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না কংগ্রেস', শাক দিয়ে আর যাচ্ছে না মাছ ঢাকা

সংক্ষিপ্ত

সনিয়া গান্ধীকে ফের ৬ মাসের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্রোহ নিয়ে সমালোচনা এসেছে কংগ্রেসের সব স্তর থেকে তারপরও শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাচ্ছে না এবার দলের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে প্রকাশ্যেই সোচ্চার বিক্ষুব্ধ নেতারা  

নেতৃত্বে বদল এবং দলের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩জন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বর্তমান সাংসদ-বিধায়করা। তারপর সনিয়াকেই আরও ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দিয়ে আপাতত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু, ফের সোচ্চার হলেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।

ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে দল, আগামী ৫০ বছরেও ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। এমনটাই জানালেন ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করা নেতাদের অন্যতম গুলাম নবি আজাদ ও কপিল সিবাল। যদি না তারমধ্যে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন হয়।

তাঁদে বক্তব্য, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দলের মধ্যে নির্বাচন হয়নি। আর তাতেই কংগ্রেস এখন ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় এসে পৌঁছেছে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলেই তার প্রমাণ মিলেছে। ঘুরে দাঁড়াতে গেলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন করতেই হবে। ১০-১৫ বছর আগেই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সরব হওয়া ছিল বলে মনে করছেন কংগ্রেসের এই বিক্ষুব্ধ অংশ।

তাঁরা বলছেন, কখনই গান্ধীদের নেতৃত্ব বা হাইকমান্ডকে নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেননি। চিঠিতে বরং তাঁরা এতদিন ধরে পরিষেবা দেওয়ার জন্য হাইকমান্ডের প্রশংসাই করেছেন। তাঁরা দলের মধ্যে নির্বাচন চাইছেন, কারণ সেইক্ষেত্রে অন্তত কংগ্রেস নেতৃত্ব সাধারণ নির্বাচন লড়তে যাওয়ার সময় এই আত্মবিশ্বাসটা পাবেন, যে দলের ৫১ শতাংশ অন্তত তাঁকে সমর্থন করেন। বর্তমানে নেতৃত্বের প্রতি দলীয় কর্মীদের ১ শতাংশও সমর্থন নাও থাকতে পারে। নির্বাচন না হওয়ার তা জানার উপায় নেই।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যই শুধু নয়, এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের পত্রবোমার সমালোচনা এসেছে কংগ্রেসের রাজ্য, জেলা, ব্লক সভাপতিদের একাংশের দিক থেকেও। আজাদ, সিবালের মতো নেতারা দাবি করছেন, যাঁরা দলের মধ্যে নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন, তাঁরা আসলে জানেন, নির্বাচন হলে সকলেই পদ হারাবেন। জন সমর্থন তাঁদের পক্ষে নেই। নইলে নির্বাচনে জিতে এলে তো তাদের সেই পদ থেকে কেউ সরাতে পারবে না। তাহলে বিরোধিতার কী কারণ, প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তাঁরা।

এর আগে অনেকবারই কংগ্রেসের মধ্যে এই ধরণের বিদ্রোহ দেখা গিয়েছে। অধিকাংশ সময়ই গান্ধী পরিবারকে দিয়ে সেই বিদ্রোহের আগুন নিভানো হয়েছে। এইবার অবশ্য সেই সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

প্রার্থী পদ বিক্রি ৫ কোটিতে, এই দাবির পরই নভজ্যোত সিধু ও তাঁর স্ত্রীকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস
৮২৭ কোটি টাকা যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে , বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল IndiGo