এক কর্ণাটকে রক্ষা নেই সঙ্গে গোয়া দোসর। কর্ণাটকে কংগ্রেসের জোট সরকারের পতনের আশঙ্কা বাড়িয়ে পদত্যাগ করছেন একের পর এক বিধায়ক। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব যখন কর্ণাটক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে ব্যস্ত, তার মধ্যেই তাঁদের নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিল গোয়া।
আরও পড়ুন- কর্ণাটক সংকটে বিজেপি-কে দুষলেন মমতা, ক্রমেই আশা কমছে কংগ্রেসের
এ দিন হঠাৎই গোয়ার দশজন কংগ্রেস বিধায়ক দলবদল করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। ২০১৭ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও গোয়া সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। এবার চল্লিশ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় তাদের বিধায়ক সংখ্যা একধাক্কায় পনেরো থেকে কমে হল পাঁচ। অন্যদিকে বারো থেকে সাতাশে পৌঁছে গেল বিজেপি। যে বিধায়করা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গোয়ার বিরোধী দলনেতা বাবু কাভলেকরও। গোয়া বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন দলত্যাগী বিধায়করা।
তবে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও শর্ত আরোপ করেনননি এই বিধায়করা। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে তাঁর দলের শক্তিবৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। সাওয়ান্তের দাবি, নিজেদের বিধানসভা এবং রাজ্যে উন্নয়নে গতি আনতেই বিজেপি-কে নিঃশর্ত সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই দশ কংগ্রেস বিধায়ক। খুব সম্ভবত বিধায়কদের সঙ্গে কংগ্রেস যাতে কোনওরকম যোগাযোগ না রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বুধবার রাতেই তাঁদের দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে বিজেপি।
২০১৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের থেকে কম আসন পেয়েও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি এবং নির্দলদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি। কংগ্রেসের অভিযোগ, জোট সঙ্গীদের উপরে আস্থা না থাকাতেই তাদের দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে সরকার বাঁচাতে চাইছে বিজেপি। রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ ছাড়ার পরে জোড়া সংকটের মুখে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কার্যত অভিভাবকহীন অবস্থায় যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দলের পোড়খাওয়া নেতারা।