স্মৃতির থেকেই কি শিখলেন রাহুল, হারের পরেও দিনভর কাটালেন অমেঠীতে

  • অমেঠীতে গেলেন রাহুল গান্ধী
  • জনসংযোগের উপর জোর দিলেন কংগ্রেস নেতা
  • অমেঠী গিয়ে হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা
  • স্মৃতি ইরানির দেখানো পথেই জনসংযোগে জোর

debamoy ghosh | Published : Jul 10, 2019 12:42 PM IST / Updated: Jul 10 2019, 06:23 PM IST


অনেকেই বলছেন, অমেঠীতে যাঁর কাছে হারতে হয়েছে, সেই স্মৃতি ইরানির থেকেই হয়তো শিক্ষা নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কারণ ২০১৪ সালে ভোটে হারার পরে এভাবেই অমেঠী আঁকড়ে পড়েছিলেন স্মৃতি। যার সুফল এবারের লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছেন স্মৃতি। ৫২ হাজারেরও বেশি ভোটে অমেঠী থেকে রাহুল গান্ধীকে হারিয়েছেন তিনি। ২০০৪ সাল থেকে টান অমেঠীর সাংসদ ছিলেন রাহুল। 

আরও পড়ুন- আর রাহুল নন, এবার লোকসভায় সোনিয়ার পাশে দেখা যাবে বহরমপুরের সাংসদকে

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যেভাবে হেরে গিয়েও অমেঠীতে জনসংযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন স্মৃতি, সেই পথেই হাঁটতে চাইছেন রাহুলও। কারণ অমেঠী কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। ১৯৬৭ সালে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার তা হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। অতীতে এই কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হয়েছেন সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীও। এই কেন্দ্র থেকেই ইন্দিরা কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে ভোটে জিতেছেন রাজীব গান্ধীও। 

টুইটারে এক কোটি ফলোয়ার হয়েছে রাহুলের। আর তা উদযাপন করতেই অমেঠীতে বুধবার সারাদিন কাটালেন রাহুল। এ দিন অমেঠীতে গিয়ে দলের একেবারে নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেন অমেঠীর প্রাক্তন সাংসদ। বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের নেতাদের সঙ্গেও হারের কারণ পর্যালোচনা করেন তিনি। বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও দেখা করেন রাহুল গান্ধী। 

ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল। এখন তিনি শুধুমাত্র কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্রের সাংসদ। কিন্তু অমেঠী পুনর্দখলই যে তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সেটা রাহুলের এ দিনের সফর থেকেই স্পষ্ট। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চললে তার জন্য রাহুলকে অন্তত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। 


 

Share this article
click me!