১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করা নলিনী শ্রীহরন এবং আর পি রবিচন্দ্রন সহ ছয়জনের অকাল মুক্তির নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য করেছে যে তামিলনাড়ু সরকার তাদের সাজা মওকুফের সুপারিশ করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকাররের পর এবার রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার সাজা প্রাপ্তদের মুক্তির রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল কংগ্রেস। উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই পথেই পা বাড়াল কংগ্রেসও। প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই নলিণীদের মুক্তির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধীতা করছিল কংগ্রেস। এবার এই মর্মে লিখিত পিটিশন দায়ের করল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শীর্ষ আদালতের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তির সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দলের তরফে নতুন করে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হল।' কংগ্রেসের এক অভ্যন্তরীন সদস্য জানিয়েছেন, কংগ্রেস সরকারের সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে কদিন আগেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেনা করার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করা নলিনী শ্রীহরন এবং আর পি রবিচন্দ্রন সহ ছয়জনের অকাল মুক্তির নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য করেছে যে তামিলনাড়ু সরকার তাদের সাজা মওকুফের সুপারিশ করেছে।
রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। নলিণী-সহ ছয় জনের মুক্তির সিদ্ধান্তের আগেই বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। এবার সেই পথেই হাটল কেন্দ্রীয় সরকারও। বৃহস্পতিবার এই মর্মে আদালতে একটি পিটিশন জমা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র দাবি করেছে যে পর্যাপ্ত শুনানি না করেই দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যা প্রকৃত ন্যায়বিচারের নীতির লঙ্ঘনের দিকেই যায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি,'এমন একটি সংবেদনশীল বিষয়ে, ভারতের ইউনিয়নের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ বিষয়টি দেশের জনশৃঙ্খলা, শান্তি এবং অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।' সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে চারজনই শ্রীলঙ্কার এবং প্রত্যেকেই সন্ত্রাসবাদী হিসেবে সাজা পেয়েছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার মত জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এমন একটি বিষয় যার আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে এবং এটি ভারত ইউনিয়নের সার্বভৌম ক্ষমতার মধ্যে। ১৯৯১ সালে আত্মঘাতী বোমবিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয় মূল অভিযুক্ত নলিণী শ্রীহরণ ও জড়িত সাতজনের। গ্রেফতারির সময় গর্ভবতী ছিলেন মূল অভিযুক্ত নলিণী। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর আবেদনে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জিবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয় নলিণীকে। পরে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বদলে যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয় বাকি সাতজনকেও।