উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ রাহুল ঘনিষ্ঠ জিতিন প্রসাদের

  • উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা
  • ধাক্কা খেল কংগ্রেস 
  • কংগ্রেসে বড় ভাঙন 
  • বিজেপিতে যোগ জিতিন প্রসাদের 

Asianet News Bangla | Published : Jun 9, 2021 8:55 AM IST / Updated: Jun 09 2021, 04:52 PM IST

করোনাকালে উত্তর প্রদেশে ভোটের আগে আরও একবার বড়সড় বিপর্যের মুখে পড়ল কংগ্রেস। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদও কংগ্রেস ত্যাগ করে যোগ দিলেন বিজেপিতে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের হাত থেকেই পদ্ম পতাকা তুলে নিলেন এক সময় রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট বিত্তে থাকা জিতিন প্রসাদ। ৪৭ বছরের জিতিন প্রসাদ জানিয়েছেন বিজেপি একমাত্র আসল রাজনৈতিক দল। এটি একমাত্র জাতীয় দল। বাকি সবকটি দলই আঞ্চলিক। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নকেন্দ্র মোদী একমাত্র দেশের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। 


উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন তিনি। ব্রাহ্মন মুখও ছিলেন জিতিন প্রসাদ। রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ট নেতা হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। দল বদল করেই তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তিন প্রজন্ম ধরেই তাঁদের পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে চলেছে। কিন্তু গত ৮-১০ বছর ধরে তিনি বিজেপির উত্থান দেখেছেন। তাঁতে তাঁর মনে হয়েছে এটি একমাত্র জাতীয় দলের তকমা পেতে পারে। জিতিন প্রসাদ আরও জানিয়েছেন, কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কাজই হল মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করা। কিন্তু কংগ্রেসের থেকে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।  

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর জিতিন প্রসাদ দ্বিতীয় হাইপ্রোফাইল নেতা যিতি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। সূত্রের খবর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁকে কংগ্রেস না ছাড়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। একাধিকবার তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জিতিন প্রসাদ জি-২৩ দলের সদস্য  ছিলেন। যিনি সনিয়া গান্ধীকে চিঠিও লিথেছিলেন। কংগ্রেসের আভ্যন্তরীন সংস্কারের দাবিও তুলেছিলেন। দল ছাড়ার পর তিনি বলেছেন মানুষের জন্য কাজ করতে না পারলে রাজনীতি করে কোনও লাভ নেই। ২০ বছর কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। যদিও সেই তা নিয়ে রীতিমত হতাশাই প্রকাশ পায় কথা সাংবাদিক বৈঠকে। উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন হতে এক বছরেরও বেশি দেরি নেই। এই অবস্থায় জিতিন প্রসাদের দলত্যাগ রীতিমত কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Share this article
click me!